ভারত
‘বিজেপি হারলে ধেই ধেই করে নাচব’
কলকাতা প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক সাংসদ, খ্যাতনামা গায়ক ও সুরকার কবীর সুমন বলেছেন, বিজেপি যদি এবার হারে তাহলে প্রথমে আমি আগে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে ধেই ধেই করে খানিকক্ষণ নাচব। তারপর না হয় ভাবা যাবে, গান-টান নিয়ে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে এক খোলামেলা আলাপচারিতায় কবীর সুমন এসব কথা বলেছেন। এবারও লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর একাধিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই নয়, সুদূর রাজস্থান থেকেও তাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি সেসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
কবীর সুমন বলেছেন, আমাকে তো অন্য দল থেকে ভোটে দাঁড়াতেও অনুরোধ করা হয়েছে। কোন দল সেটা বলব না। তবে বিজেপি-ও না, সিপিআইএমও না। আরও অন্য দল রয়েছে। মাস দুয়েক আগেও বলেছে। এই ভোটেই দাঁড়াতে বলেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এছাড়া এ রাজ্যের বাইরে, যেমন রাজস্থান থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি আর ভোটে দাঁড়াব না। তাছাড়া, সাতটি বিধানসভা চষে ফেলার মতো শারীরিক তাগতও আর নেই আমার। তবে কবীর সুমন মনেপ্রাণে চান, বিজেপি-আরএসএস দূর হোক এই দেশ থেকে। তার ইচ্ছা, নকশালরা জিতুক এবং মমতা প্রধানমন্ত্রী হোন। তিনি মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে তিনি বন্ধু মনে করেন আজও।
মমতার একান্ত গুণগ্রাহী কবীর সুমন মনে করেন, মানুষ তাকে ভোটে ফেরাবেন না। তার মতে, বিজেপি আর সিপিআইএম নেগেটিভ লড়াই করছে। নিন্দেবাচক লড়াই। ভাবতে পারেন, ওদের আক্রমণের বিষয়, হাওয়াই চটি। আমি তাই ওদের সিরিয়াসলি নিতেই পারছি না । কবীর সুমন মনে করেন, মমতা যা কাজ করেছে, তাতে ‘মমতা লাইক অ্যা কুইন’। আমি যদি মমতা হতাম, তাহলে বসে বসে শুধু হাসতাম। ওর এখন উচিত সম্রাট শাহজাহানের মতো সিংহাসনে বসে থাকা। কিন্তু মমতা আসলে কাজ না করে থাকতে পারেন না। ওর বোধহয় একটা অদৃশ্য হুল ফোটে। সব কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, এটা দেখাই মমতার অভ্যাস।
তৃণমূলে আসলে একটা ভাইব্র্যান্ট ডেমোক্রেসি আছে বলেই এটা করতে হয়। জানেন, সোনারপুরে সিপিআইএম থেকে তৃণমূলে আসা কয়েকজন কৃষক একবার আমায় বলেছিলেন, স্যার আপনি তো এই রাজনীতি করেন না। আপনি তো বিপ্লবী ধরনের মানুষ। কিন্তু আপনাকে যদি এই দলটা করতে হয়, তাহলে রেজিমেন্টেড পার্টি করতে হবে। আমারও আজ মনে হয়, এখানে রেজিমেন্টেশন থাকলে ভাল হতো। তবে তৃণমূলে সেটা হয়নি, আর হবেও না। কারণ, মমতা যেন রবীন্দ্রনাথের ‘খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে’ গানটা গাইতে গাইতে বেঁচে আছেন। ওর বদ্ধ কোনও কিছু ভাল লাগে না। সারাক্ষণ কথা বলে চলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মানুষ হিসেবে কবীর সুমনের ভাল লাগলেও তিনি মনে করেন, ওর দেশের নেতা হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।
কবীর সুমন বলেছেন, আমাকে তো অন্য দল থেকে ভোটে দাঁড়াতেও অনুরোধ করা হয়েছে। কোন দল সেটা বলব না। তবে বিজেপি-ও না, সিপিআইএমও না। আরও অন্য দল রয়েছে। মাস দুয়েক আগেও বলেছে। এই ভোটেই দাঁড়াতে বলেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এছাড়া এ রাজ্যের বাইরে, যেমন রাজস্থান থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি আর ভোটে দাঁড়াব না। তাছাড়া, সাতটি বিধানসভা চষে ফেলার মতো শারীরিক তাগতও আর নেই আমার। তবে কবীর সুমন মনেপ্রাণে চান, বিজেপি-আরএসএস দূর হোক এই দেশ থেকে। তার ইচ্ছা, নকশালরা জিতুক এবং মমতা প্রধানমন্ত্রী হোন। তিনি মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে তিনি বন্ধু মনে করেন আজও।
মমতার একান্ত গুণগ্রাহী কবীর সুমন মনে করেন, মানুষ তাকে ভোটে ফেরাবেন না। তার মতে, বিজেপি আর সিপিআইএম নেগেটিভ লড়াই করছে। নিন্দেবাচক লড়াই। ভাবতে পারেন, ওদের আক্রমণের বিষয়, হাওয়াই চটি। আমি তাই ওদের সিরিয়াসলি নিতেই পারছি না । কবীর সুমন মনে করেন, মমতা যা কাজ করেছে, তাতে ‘মমতা লাইক অ্যা কুইন’। আমি যদি মমতা হতাম, তাহলে বসে বসে শুধু হাসতাম। ওর এখন উচিত সম্রাট শাহজাহানের মতো সিংহাসনে বসে থাকা। কিন্তু মমতা আসলে কাজ না করে থাকতে পারেন না। ওর বোধহয় একটা অদৃশ্য হুল ফোটে। সব কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, এটা দেখাই মমতার অভ্যাস।
তৃণমূলে আসলে একটা ভাইব্র্যান্ট ডেমোক্রেসি আছে বলেই এটা করতে হয়। জানেন, সোনারপুরে সিপিআইএম থেকে তৃণমূলে আসা কয়েকজন কৃষক একবার আমায় বলেছিলেন, স্যার আপনি তো এই রাজনীতি করেন না। আপনি তো বিপ্লবী ধরনের মানুষ। কিন্তু আপনাকে যদি এই দলটা করতে হয়, তাহলে রেজিমেন্টেড পার্টি করতে হবে। আমারও আজ মনে হয়, এখানে রেজিমেন্টেশন থাকলে ভাল হতো। তবে তৃণমূলে সেটা হয়নি, আর হবেও না। কারণ, মমতা যেন রবীন্দ্রনাথের ‘খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে’ গানটা গাইতে গাইতে বেঁচে আছেন। ওর বদ্ধ কোনও কিছু ভাল লাগে না। সারাক্ষণ কথা বলে চলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মানুষ হিসেবে কবীর সুমনের ভাল লাগলেও তিনি মনে করেন, ওর দেশের নেতা হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।