বাংলারজমিন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর সেশনজট নেই: ভিসি
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজটমুক্ত করা। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করেছি। এখন আর সেশনজট নেই। আমরা এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় যেসব কলেজ আছে সেগুলোতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’ গতকাল গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমস্যা থাকবে, কিন্তু সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন শিক্ষকরা। এজন্য শিক্ষকদের পেশাদারিত্বের দিকে বেশি জোর দিতে হবে। কারণ বর্তমানে শিক্ষকদের মধ্যে পেশারিত্বের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিক্ষকদের যে বৈশিষ্ট্য আছে তার সবটুকু থাকতে হবে একজন শিক্ষকের মধ্যে। মনে প্রাণে পেশাদারিত্ব ধারণ করতে হবে। কারণ উন্নয়নমূলক সমাজের মূল কথাই পেশাদারিত্ব। তাই পেশাদারিত্বের দিকে মনোযোগ দিতে হবে বেশি।’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট সিইডিপি- ৩ এর আওতায় বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে ৩য় ব্যাচের শিক্ষক প্রশিক্ষণার্থীদের মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ১৪২ জন শিক্ষকের হাতে সনদ তুলেদেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. নোমান উর রশীদ, কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, বাংলা অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম খান, সমাজবিজ্ঞান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, গণিত ও প্রকল্প পরিচালক ড. এ. কে. এম. মুখলেছুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র এর ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ।