অনলাইন
লক্ষীপুরে কেরোসিন ঢেলে তরুণীকে হত্যা:
ইউপি সদস্য-গ্রামপুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৩:৪০ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে তরুণী শাহেনুর আক্তারকে হত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন নিহতের বাবা জাফর উদ্দিন। সোমবার রাতে শাহেনুর আক্তারের স্বামী সালাউদ্দিনকে প্রধান করে কমলনগর থানায় এ মামলা করেন তিনি। মামলায় অন্য আসামীরা হচ্ছেন, সালাউদ্দিনের দুই ভাই আবদুর রহমান, আলাউদ্দিন, চরফলকন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন ও গ্রামপুলিশ আবু তাহের। এছাড়া মামলায় আরো ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
এদিকে আটককৃত ইউপি সদস্য, গ্রামপুলিশ ও সালাউদ্দিনের দু’ভাইকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মুল আসামী সালাউদ্দিনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, আটককৃত ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেক আসামীর ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মাস আগে মোবাইল ফোনে সালাউদ্দনিরে সঙ্গে পরিচয় হয় চট্টগ্রামের রাউজানের তরুণী সাহানুর আক্তারের। পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর প্রায় দেড় বছর আগে কাজী অফিসে বিয়ে করে তারা। গত ৬ মাস আগে তরুণী জানতে পারে সালাউদ্দনি বিবাহিত। এই কথা শোনার পর বেশ কয়েকবার কমলনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য সালাউদ্দিনের কাছে ছুটে আসেন তিনি। শুক্রবার আবারো লক্ষীপুরে সালাউদ্দিনের কাছে আসেন শাহেনুর। স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে তিনি ফিরে যাবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এতে স্বামী সালাউদ্দিন রাজি না হওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারের সহায়তায় এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশ বৈঠকে শাহেনুর আক্তারকে নানাভাবে তিরস্কার অপমান অপদস্থ করে এবং এলাকা থেকে চলে যেতে বলে তারা। কিন্তু তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে রোববার বিকালে ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশের সহযোগিতায় স্বামী সালাউদ্দিনসহ অন্যরা শাহেনুর আক্তারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। পরে একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয় শাহেনুর আক্তারকে। সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তরণী শাহেনুর আক্তার।
এদিকে আটককৃত ইউপি সদস্য, গ্রামপুলিশ ও সালাউদ্দিনের দু’ভাইকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মুল আসামী সালাউদ্দিনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, আটককৃত ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেক আসামীর ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মাস আগে মোবাইল ফোনে সালাউদ্দনিরে সঙ্গে পরিচয় হয় চট্টগ্রামের রাউজানের তরুণী সাহানুর আক্তারের। পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর প্রায় দেড় বছর আগে কাজী অফিসে বিয়ে করে তারা। গত ৬ মাস আগে তরুণী জানতে পারে সালাউদ্দনি বিবাহিত। এই কথা শোনার পর বেশ কয়েকবার কমলনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য সালাউদ্দিনের কাছে ছুটে আসেন তিনি। শুক্রবার আবারো লক্ষীপুরে সালাউদ্দিনের কাছে আসেন শাহেনুর। স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে তিনি ফিরে যাবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এতে স্বামী সালাউদ্দিন রাজি না হওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারের সহায়তায় এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশ বৈঠকে শাহেনুর আক্তারকে নানাভাবে তিরস্কার অপমান অপদস্থ করে এবং এলাকা থেকে চলে যেতে বলে তারা। কিন্তু তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে রোববার বিকালে ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশের সহযোগিতায় স্বামী সালাউদ্দিনসহ অন্যরা শাহেনুর আক্তারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। পরে একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয় শাহেনুর আক্তারকে। সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তরণী শাহেনুর আক্তার।