খেলা
বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল
জয়ে শুরু স্বাগতিক বাংলাদেশের
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
কোনো কিছুই নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে না পারাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। বাদ যায়নি বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টও। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল সন্ধ্যা ৬টা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর শুরু হলো ম্যাচ। আসরে ফেভারিটদের মতোই শুরু করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২-০ গোলে হারায় মৌসুমীরা। এ জয়ে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। ম্যাচে গোল দুটি করেন অধিনায়ক মৌসুমী ও কৃষ্ণা। আগামী শুক্রবার ‘বি’ গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচে কিরগিজস্থানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আজ ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানের মুখোমুখি হবে মঙ্গোলিয়া।
শ্রীলঙ্কার হামলায় এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে মাঠে গড়ানো আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দেয়া দুটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে ডজনখানেক সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে না পারায় হতাশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তবে তার বিশ্বাস মেয়েরা সামনের ম্যাচগুলোতে আরো গোছানো ফুটবল উপহার দেবে। এদিন আধিপত্য বিস্তার করে খেলা বাংলাদেশ প্রথম গোলের দেখা পায় ১২ মিনিটে। ডিফেন্ডার আঁখির লম্বা বলে দুই ডিফেন্ডারকে দৌড়ে পেছনে ফেলে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠান ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। পরের মিনিটে আবারো সংঘবদ্ধ আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। সানজিদা থ্রু ধরে মৌসুমির লং বল কৃষ্ণা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন আরব আমিরাতের এক ডিফেন্ডার। এ সময় পরপর তিনটি কর্নার আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৭ মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন স্বপ্না। মৌসুমীর বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও হাতে তুলেদেন এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুর দিকেও প্রায় একই রকম সুযোগ নষ্ট করেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড। মার্চে নেপালে অনুষ্ঠিত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশীপেও খুব একটা ছন্দে ছিলেন না এই নারী তিনি। বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৩১ মিনিটে। মনিকার কর্ণারে হেডে জালে জড়ান কৃষ্ণা রানী সরকার (২-০)। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কর্র্ণার থেকে শামসুন্নাহারের ক্রস স্বপ্ন স্লাইডিং অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তৃতীয় গোল বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধেও পুরোটা সময় আরব আমিরাতকে চাপে রাখে বাংলাদেশের মেয়েরা। আরব আমিরাতের অতি রক্ষণাত্মক ফুটবল আর স্বপ্না, মৌসুমিদের স্বার্থপরতায় ব্যবধান বাড়েনি। পুরো ম্যাচে বহুবার অফ সাইডের ফাদে পরেছেন বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড মৌসুমী ও স্বপ্না। বার বার একই রকম ভুল করলেও ডাগআউট থেকে কোনো রকম নির্দেশনা দেননি গোলাম রব্বানী ছোটন। নিশ্চুপ ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টও পল স্মলিও। এদিন বাংলাদেশের মাঝমাঠের প্রানভ্রোমরা মনিকা চাকমাকেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। শেষ দিকে স্বপ্নার বদলী হিসেবে নামা সাজেদা সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। মনিকার লংবল আরব আমিরাতের গোলরক্ষক মালালা গ্রিপে নীতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান সাজেদা। কিন্তু তার প্রচেষ্ঠা গোললাইন থেকে প্রতিহত করেন আরব আমিরাতে এক ডিফেন্ডার। তবে মাঠের খেলা যেমনই হোক জয় পাওয়াতেই তৃপ্ত স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার পাঁচেক দর্শক।
বাংলাদেশ দল
রূপনা চাকমা (গোলরক্ষক) শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার (১), আঁখি খাতুন, নার্গিস আক্তার, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার (মার্জিয়া), মৌসুমী (অধিনায়ক), স্বপ্না (সাজেদা), কৃষ্ণা, মারিয়া।
শ্রীলঙ্কার হামলায় এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে মাঠে গড়ানো আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দেয়া দুটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে ডজনখানেক সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে না পারায় হতাশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তবে তার বিশ্বাস মেয়েরা সামনের ম্যাচগুলোতে আরো গোছানো ফুটবল উপহার দেবে। এদিন আধিপত্য বিস্তার করে খেলা বাংলাদেশ প্রথম গোলের দেখা পায় ১২ মিনিটে। ডিফেন্ডার আঁখির লম্বা বলে দুই ডিফেন্ডারকে দৌড়ে পেছনে ফেলে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠান ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। পরের মিনিটে আবারো সংঘবদ্ধ আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। সানজিদা থ্রু ধরে মৌসুমির লং বল কৃষ্ণা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন আরব আমিরাতের এক ডিফেন্ডার। এ সময় পরপর তিনটি কর্নার আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৭ মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন স্বপ্না। মৌসুমীর বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও হাতে তুলেদেন এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুর দিকেও প্রায় একই রকম সুযোগ নষ্ট করেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড। মার্চে নেপালে অনুষ্ঠিত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশীপেও খুব একটা ছন্দে ছিলেন না এই নারী তিনি। বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৩১ মিনিটে। মনিকার কর্ণারে হেডে জালে জড়ান কৃষ্ণা রানী সরকার (২-০)। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কর্র্ণার থেকে শামসুন্নাহারের ক্রস স্বপ্ন স্লাইডিং অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তৃতীয় গোল বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধেও পুরোটা সময় আরব আমিরাতকে চাপে রাখে বাংলাদেশের মেয়েরা। আরব আমিরাতের অতি রক্ষণাত্মক ফুটবল আর স্বপ্না, মৌসুমিদের স্বার্থপরতায় ব্যবধান বাড়েনি। পুরো ম্যাচে বহুবার অফ সাইডের ফাদে পরেছেন বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড মৌসুমী ও স্বপ্না। বার বার একই রকম ভুল করলেও ডাগআউট থেকে কোনো রকম নির্দেশনা দেননি গোলাম রব্বানী ছোটন। নিশ্চুপ ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টও পল স্মলিও। এদিন বাংলাদেশের মাঝমাঠের প্রানভ্রোমরা মনিকা চাকমাকেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। শেষ দিকে স্বপ্নার বদলী হিসেবে নামা সাজেদা সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। মনিকার লংবল আরব আমিরাতের গোলরক্ষক মালালা গ্রিপে নীতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান সাজেদা। কিন্তু তার প্রচেষ্ঠা গোললাইন থেকে প্রতিহত করেন আরব আমিরাতে এক ডিফেন্ডার। তবে মাঠের খেলা যেমনই হোক জয় পাওয়াতেই তৃপ্ত স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার পাঁচেক দর্শক।
বাংলাদেশ দল
রূপনা চাকমা (গোলরক্ষক) শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার (১), আঁখি খাতুন, নার্গিস আক্তার, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার (মার্জিয়া), মৌসুমী (অধিনায়ক), স্বপ্না (সাজেদা), কৃষ্ণা, মারিয়া।