বাংলারজমিন
কারাগারেই থাকতে চান জিয়াউর!
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
‘স্যার আমাকে জেলখানায় রাখার ব্যবস্থা করেন, প্রাণটা অন্তত বাঁচবে, নাহলে ওরা আমারে জানে মেরে ফেলবে।’ ৫০ বিজিবি’র অধিনায়কের কাছে এ আকুতি জানান পুলিশের হাতে আটক সীমান্তবাসী জিয়াউরের। হাতে হ্যান্ডকাফ পরে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুমূর্ষু জিয়াউর ও তার স্ত্রী জানান, বিজিবি-গ্রামবাসী মামলায় বিজিবি’র পক্ষে সাক্ষী দেয়ায় তিনি ও তার পরিবার বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ১২ই এপ্রিল মুমূর্ষু অবস্থায় প্রতিবেশী ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আগের দিন তার গেট ভেঙে বাড়ির জানালা দরজাসহ সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার কারণ জানতে সরজমিন গেলে, সেই ভয়ঙ্কর রাতের বর্ণনা দেন জিয়াউরের স্বজন ও প্রতিবেশীরা। গত ১০ই এপ্রিল বিজিবি’র বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর করা একটা মামলা হরিপুর আমলি আদালত খারিজ করলে তার পরদিন পুরুষ নারী মিলে শতাধিক লোক হুমকির এক পর্যায়ে গত ১১ই এপ্রিল রাতে কিছু চোরাকারবারি একত্রিত হয়ে তার বাড়িতে হামলা করে। এরপর জিয়াউর ও তার পরিবার প্রাণ ভয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। দরজা জানালা ভাঙা, লুটের পর জিয়াউরের স্ত্রী থানায় মামলা করতে গেলে দুর্বৃত্ত চক্র তার শ্লীলতাহানি করে ও তাকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ জিয়াউরের। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএমএন সামিউল্লাহ চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, জিয়াউর আমাদের মামলার সাক্ষী এবং জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি’র সহায়তাকারী। তার ওপর হামলাটি ন্যক্কারজনক। তিনি বলেন, জিয়াউর বলেছে, স্যার বাইরে নিরাপত্তা নেই, আমাকে কারাগারে রাখার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, জিয়াউরের নামে ২টি ওয়ারেন্ট ছিল। সেজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।