এক্সক্লুসিভ

এবার হাত-পা বেঁধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কোচিং সেন্টার পরিচালকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক রয়েছে কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল। গত ১২ই এপ্রিল নিজ বাসায় একা পেয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে কোচিং সেন্টারের পরিচালক। কিন্তু দীর্ঘ এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন শুক্রবার।

এরপর স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেন তাদের। মামলা তুলে না নিলে যেকোনো মুহূর্তে এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দেন। ফলে নিরুপায় হয়ে সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান ওই ছাত্রীর মা ও বাবা।

স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। এলাকার ছেলে সাইফুলের অনুরোধে উত্তর আমিরাবাদের একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র গড়ে ওঠে।
গত ১২ই এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতিতে তার বাসায় যায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল ইসলাম। বাসায় তখন একা পেয়ে স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। সে সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘটনা শোনার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিনই তাকে চমেক হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

ঘটনার তিনদিনের মাথায় গত ১৫ই এপ্রিল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) প্রতিবেদন পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ মামলা নেয়। মামলাটি দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর মা। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চমেক হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৯শে এপ্রিল বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী।

কিন্তু ধর্ষক সাইফুল ইসলাম এর মধ্যে গাঢাকা দেয়। সে যেকোনো মুহূর্তে দেশের বাইরে চলে যেতে পারে। এজন্য ভিসাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সমপন্ন করে  রেখেছে বলে খবর পেয়েছি- বললেন ওই ছাত্রীর বাবা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কোচিং সেন্টার বন্ধ করে আসামি আত্মগোপনে চলে গেছে। তবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিকাশ রুদ্র বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। সে যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য আমরা বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছি। আশা করি, ধর্ষক দ্রুত গ্রেপ্তার হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status