প্রথম পাতা
‘বাংলাদেশ দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়নি’
স্টাফ রিপোর্টার
২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ীই বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল, দৈবক্রমে বা দুর্ঘটনাবশত নয়। গতকাল জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ লিডারশিপ কনক্লেভ ২০১৯- টুগেদার টুয়ার্ডস টুমরো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
হোটেল লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তা, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে অধ্যয়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত দশ বছরে যেই বিস্ময়কর উন্নতি করেছে, তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কিন্তু এমনি এমনি এই উন্নয়ন হয়নি। গত ১০ বছরে এই ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে কেবল স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ফলেই।
উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির অংশ হিসেবে, এ বিষয়ে ভাবা ও অধ্যয়ন করা আপনাদের দায়িত্ব।
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির কারণেই বাংলাদেশ এতটা এগোতে পেরেছে।
যেকোনো জাতির উন্নয়নের প্রথম ও প্রধানতম পূর্বশর্ত হলো নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মধ্যে এই বিশ্বাস সঞ্চার করেছেন। আজ আমরা যেখানে আসতে পেরেছি, সেটি তারই স্বাভাবিক ফলাফল মাত্র। কিন্তু তিনি কীভাবে এই বিশ্বাস সঞ্চার করেছেন?
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি করেছেন তাহলো আমাদের জাতীয় মননে স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা তিনি প্রোথিত করেছেন। বিশ্বের খুব অল্প কয়েকটি দেশই স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। এটি কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়।
তিনি বলেন, এই জাতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছেন তারা, যারা ’৭৫-এর পর ’৯৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তারা এই প্রচার চালাতে লাগলো যে, বাংলাদেশ আসলে দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়ে যায়, পরিকল্পনা মাফিক নয়। তারা বলতো যে, ভুট্টো যদি ’৭০-এর নির্বাচনের পর পর পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে দিত, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না! এতটাই ভয়াবহ ইতিহাস বিকৃতি তারা করেছিল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তৎকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নথির ভিত্তিতে গ্রন্থিত বই ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-কে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, অথচ এই নথিসমূহ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বঙ্গবন্ধু সেই তরুণ বয়স থেকে, যখন তিনি একজন ছাত্রনেতা ছিলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তা করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যেটা করেছেন সেটা হলো তিনি ইতিহাসের এই বিকৃতি সংশোধন করে দিয়েছেন। আর এ কারণেই বাংলাদেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে যে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে তৈরি হবে, তা হবে ভীষণ কঠিন। এ জন্য প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়েও তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, এফবিসিসিআই’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। অনুষ্ঠানে জেসিআই’র প্রেসিডেন্ট ইরফান ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ার আরমান এ খান ও নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আমজাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
হোটেল লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তা, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে অধ্যয়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত দশ বছরে যেই বিস্ময়কর উন্নতি করেছে, তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কিন্তু এমনি এমনি এই উন্নয়ন হয়নি। গত ১০ বছরে এই ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে কেবল স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ফলেই।
উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির অংশ হিসেবে, এ বিষয়ে ভাবা ও অধ্যয়ন করা আপনাদের দায়িত্ব।
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির কারণেই বাংলাদেশ এতটা এগোতে পেরেছে।
যেকোনো জাতির উন্নয়নের প্রথম ও প্রধানতম পূর্বশর্ত হলো নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মধ্যে এই বিশ্বাস সঞ্চার করেছেন। আজ আমরা যেখানে আসতে পেরেছি, সেটি তারই স্বাভাবিক ফলাফল মাত্র। কিন্তু তিনি কীভাবে এই বিশ্বাস সঞ্চার করেছেন?
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি করেছেন তাহলো আমাদের জাতীয় মননে স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা তিনি প্রোথিত করেছেন। বিশ্বের খুব অল্প কয়েকটি দেশই স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। এটি কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়।
তিনি বলেন, এই জাতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছেন তারা, যারা ’৭৫-এর পর ’৯৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তারা এই প্রচার চালাতে লাগলো যে, বাংলাদেশ আসলে দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়ে যায়, পরিকল্পনা মাফিক নয়। তারা বলতো যে, ভুট্টো যদি ’৭০-এর নির্বাচনের পর পর পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে দিত, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না! এতটাই ভয়াবহ ইতিহাস বিকৃতি তারা করেছিল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তৎকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নথির ভিত্তিতে গ্রন্থিত বই ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-কে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, অথচ এই নথিসমূহ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বঙ্গবন্ধু সেই তরুণ বয়স থেকে, যখন তিনি একজন ছাত্রনেতা ছিলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তা করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যেটা করেছেন সেটা হলো তিনি ইতিহাসের এই বিকৃতি সংশোধন করে দিয়েছেন। আর এ কারণেই বাংলাদেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে যে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে তৈরি হবে, তা হবে ভীষণ কঠিন। এ জন্য প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়েও তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, এফবিসিসিআই’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। অনুষ্ঠানে জেসিআই’র প্রেসিডেন্ট ইরফান ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ার আরমান এ খান ও নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আমজাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।