দেশ বিদেশ

৪৯৫ বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের কারাগারে আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

 বিভিন্ন দেশের ৪৯৫ নাগরিক বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি হিসেবে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এদের মধ্যে ৮৬ জন মুক্ত হলেও কোনও দেশ তাদেরকে নিতে যোগাযোগ না করায় তারা এখনো কারাগারে থাকছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশের কারাগারে সাজা খাটা ৮৬ বিদেশি নাগরিকের কারাভোগ শেষ হয়েছে। তবে নিজ নিজ দেশ থেকে তাদের কেউ নিতে না আসায় তারা এখনও কারাগারেই আছেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ক আঞ্চলিক সম্মেলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের আদালত থেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাদল ফরাজিকে বাংলাদেশে আনা হলেও তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বাদল ফরাজির বিষয় নিয়ে একটি জটিলতা রয়েছে। এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে রাষ্ট্রপতি যদি তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেন, তাহলেই তিনি মুক্তি পাবেন। কখনও যদি সে সুযোগ আসে, রাষ্ট্রপতি যদি ক্ষমা করেন তাহলে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র সহযোগিতায় ‘কমব্যাটিং ট্র্যাফিকিং: রিপেট্রিয়েশন অব ভিকটিমস অব ট্র্যাফিকিং’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা সময় বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার হয়েছে। এখনও হচ্ছে, তবে সেটা সংখ্যায় কমে আসছে। এখন যেটা হচ্ছে তা প্রলুব্ধ করা। বাংলাদেশ থেকে এখন জোর করে নয়, প্রলুব্ধ করে লোকজনকে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। এতে তারা ভিকটিম হচ্ছে, অনেকে বিভিন্ন দেশে আটকে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত। আমাদের মানুষকে জোর করে, কখনও প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্পষ্ট করে বলতে পারি আগের তুলনায় ভালো অবস্থানের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ পাচার করা হয়। তবে এখন প্রলুব্ধ হওয়া মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। অনেকে এখন বাংলাদেশে আসছে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর জন্য। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের সংখ্যা অনেক কমেছে। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় মানব পাচার রোধে পুলিশের কমিটি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়। এছাড়া, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের জোর করে এ অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছে। জোর করে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হচ্ছে। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত খুলে না দিলে নাফ নদী রক্তে লাল হয়ে যেতো। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বেঁচে থাকা। ২০১৫ সালে নৌকা দিয়ে বিদেশে যাওয়ার যারা চেষ্টা করছিল, যে ঘটনাটি অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তখনকার বেশিরভাগই ছিলেন রোহিঙ্গা নাগরিক। এখনও যারা নৌপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের ৮০ ভাগই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। অনুষ্ঠানে আইওএম বাংলাদেশের প্রধান গিওরগি গিগাউরি, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, অ্যাটসেক ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর মানবেন্দ্রনাথ মুল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক উপস্থিত ছিলেন।



 
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status