শেষের পাতা
কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরের উদ্যোগ নেই
শাহনেওয়াজ বাবলু
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
থেমে আছে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল স্থানান্তরের উদ্যোগ। সিদ্ধান্ত হয়েছিল অন্তবর্তী সময়ের জন্য রাজধানীর নিমতলি এবং টঙ্গীতে সরানো হবে কেমিক্যাল গোডাউন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নেয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল কদমতলী থানার শ্যামপুর মৌজায় অবস্থিত বিসিআইসির উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে টঙ্গীর কাঁঠালদিয়া মৌজায় বিএসইসির খালি জায়গায় এগুলো সরিয়ে নেয়া হবে।
কিন্তু চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ওই দুই জায়গায় কোন কেমিক্যাল গোডাউন সরানো হয়নি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই দুই জায়গায় কেমিক্যাল রাখার কোন গোডাউনই প্রস্তুত করা হয়নি। এমনকি ওই এলাকার লোকজন কেউই জানেন না যে এখানে কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর হবে। তবে নীমতলী এবং টঙ্গিতে কেমিক্যাল স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে ডিএসসিরি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল উচ্ছেদ অভিযান শেষ করেছি। এছাড়া বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে যে ৩২টি কেমিক্যালের তালিকা দেয়া হয়েছে এইসব কেমিক্যালও পুরান ঢাকায় পাওয়া যাবে না। আর প্রাথমিকভাবে নীমতলি এবং টঙ্গীতে কেমিক্যাল স্থানান্তারের বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। আমি যতটুকু জানি এই দুই জায়গায় কেমিক্যাল স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকঢোল পিটিয়ে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর অভিযান চালায়। পাঁচটি টিমের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কেমিক্যাল গোডাউন সিলগালা করে। কেমিক্যাল গোডাউনগুলোর বাড়ির বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে গোডাউন মালিকদের বাধারও সম্মুখীন হয় ওই টিম। এরপর থেকে অভিযান ঝিমিয়ে পড়ে। ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে চলা এই অভিযান ১লা এপ্রিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এই অবস্থায় আগের চেহারায় ফিরে গেছে পুরান ঢাকা। এখন সেখানে কেমিক্যাল গোডাউনে আগের মতো বেচা-কেনা চলছে।
গত ২০শে ফেব্রুয়ারী চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ৬ দিন পর এক সভায় পুরান ঢাকার কেমিক্যাল প্রাথমিকভাবে নীমতলি এবং টঙ্গীতে স্থানান্তরের করা হবে বলে জানানো হয়। এই দুটি জায়গায় ১২ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ৪ লাখ বর্গফুট আয়তনের স্টিল শেড নির্মাণ করার কথাও বলা হয়। পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে স্থায়ী গুদামে এসব কেমিক্যাল স্থানান্তর করা হবে বলেও জানানো হয়।
ওই দিনের সভায় সিদ্ধান্ত হয় পরের দুই দিনের মধ্যে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের কেমিক্যাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে লিখিতভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানাবে ওই সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল হালিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকা থেকে নিরাপদ স্থানে কেমিক্যাল স্থানান্তরের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এগুলো স্থানান্তরের জন্য ব্যবসায়ীদের জায়গা করে দেয়া হবে। আরো জায়গা প্রয়োজন হলে, শিল্প মন্ত্রণালয় সেটিরও ব্যবস্থা করবে। টঙ্গী ও কদমতলীতে সরকারের খরচেই স্টিল স্ট্রাকচার নির্মাণ করে দেয়া হবে। তবে ব্যবসায়ীরা সেখানে যৌক্তিক ভাড়ায় কেমিক্যাল সংরক্ষণ করবেন।
কিন্তু চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ওই দুই জায়গায় কোন কেমিক্যাল গোডাউন সরানো হয়নি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই দুই জায়গায় কেমিক্যাল রাখার কোন গোডাউনই প্রস্তুত করা হয়নি। এমনকি ওই এলাকার লোকজন কেউই জানেন না যে এখানে কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর হবে। তবে নীমতলী এবং টঙ্গিতে কেমিক্যাল স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে ডিএসসিরি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল উচ্ছেদ অভিযান শেষ করেছি। এছাড়া বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে যে ৩২টি কেমিক্যালের তালিকা দেয়া হয়েছে এইসব কেমিক্যালও পুরান ঢাকায় পাওয়া যাবে না। আর প্রাথমিকভাবে নীমতলি এবং টঙ্গীতে কেমিক্যাল স্থানান্তারের বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। আমি যতটুকু জানি এই দুই জায়গায় কেমিক্যাল স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকঢোল পিটিয়ে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর অভিযান চালায়। পাঁচটি টিমের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কেমিক্যাল গোডাউন সিলগালা করে। কেমিক্যাল গোডাউনগুলোর বাড়ির বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে গোডাউন মালিকদের বাধারও সম্মুখীন হয় ওই টিম। এরপর থেকে অভিযান ঝিমিয়ে পড়ে। ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে চলা এই অভিযান ১লা এপ্রিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এই অবস্থায় আগের চেহারায় ফিরে গেছে পুরান ঢাকা। এখন সেখানে কেমিক্যাল গোডাউনে আগের মতো বেচা-কেনা চলছে।
গত ২০শে ফেব্রুয়ারী চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ৬ দিন পর এক সভায় পুরান ঢাকার কেমিক্যাল প্রাথমিকভাবে নীমতলি এবং টঙ্গীতে স্থানান্তরের করা হবে বলে জানানো হয়। এই দুটি জায়গায় ১২ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ৪ লাখ বর্গফুট আয়তনের স্টিল শেড নির্মাণ করার কথাও বলা হয়। পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে স্থায়ী গুদামে এসব কেমিক্যাল স্থানান্তর করা হবে বলেও জানানো হয়।
ওই দিনের সভায় সিদ্ধান্ত হয় পরের দুই দিনের মধ্যে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের কেমিক্যাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে লিখিতভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানাবে ওই সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল হালিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকা থেকে নিরাপদ স্থানে কেমিক্যাল স্থানান্তরের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এগুলো স্থানান্তরের জন্য ব্যবসায়ীদের জায়গা করে দেয়া হবে। আরো জায়গা প্রয়োজন হলে, শিল্প মন্ত্রণালয় সেটিরও ব্যবস্থা করবে। টঙ্গী ও কদমতলীতে সরকারের খরচেই স্টিল স্ট্রাকচার নির্মাণ করে দেয়া হবে। তবে ব্যবসায়ীরা সেখানে যৌক্তিক ভাড়ায় কেমিক্যাল সংরক্ষণ করবেন।