প্রথম পাতা
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ঘিরে নানা হিসাব
কাজী সোহাগ
১৮ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। এরইমধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে দলটি। প্রস্তুতির সঙ্গে চলছে নানা হিসাব-নিকাষ। নানা আলোচনা। শীর্ষ পর্যায় থেকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কারা আসতে পারেন নেতৃত্বে তা নিয়ে চলছে জল্পনা, কল্পনা। কাউন্সিলকে ঘিরে এরইমধ্যে গঠন করা হয়েছে ৮টি সাংগঠনিক টিম। ওই টিম শিগগিরই দেশব্যপী তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। কাউন্সিলের আগে দলের তৃণমুলে বিবদমান বিভেদ কমাতে ওই টিম উদ্যোগ নেবে। পাশাপাশি কাউন্সিলকে উৎসবমূখর করতে কাজ করবে তারা। এদিকে তৃণমুল নেতা-কর্মীরা দল নিয়ে কি ভাবছেন তাও খতিয়ে দেখবেন টিমের সদস্যরা। তৃণমুলের মতামত ও অভিপ্রায়ের কথা শুনবেন তারা। দলের নেতারা জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাউন্সিলের ৫ মাস বাকি থাকলেও দলের কেন্দ্রিয় পর্যায়েও এসব নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। প্রথম আলোচনায় স্থান পাচ্ছে কে হচ্ছেন দলের ভবিষ্যত সাধারণ সম্পাদক। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের থাকছেন নাকি তার জায়গায় আসছেন অন্য কেউ? ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হওয়ার আগে থেকেই এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। অসুস্থ হওয়ার পর এখন সে আলোচনার মাত্রা আরও বেড়েছে। পাশাপাশি কাউন্সিলকে ঘিরে দল ও সরকারকে আলাদা করার আলোচনা আছে আওয়ামী লীগে। বিশেষ করে এ বছরে গঠিত আওয়ামী লীগের ৫ম ও শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেরই স্থান না পাওয়া এই ধারণাকে আরও জোরালো করেছে। গত কয়েক দিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী কাউন্সিলে বড় ধরণের চমক থাকতে পারে। বিশেষ করে দলের নেতৃত্ব নিয়ে থাকবে বড় ধরনের পরিবর্তন। দুটি কারনে চমক থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা। প্রথমত ক্ষমতায় থাকতে থাকতে সাংগঠনিক কাঠামো আরও মজবুত করা। দ্বিতীয়ত আগামী বছর জুড়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে। এজন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দল সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা না থাকলে বছরব্যপী আয়োজন সফল করা সম্ভব নয়। এজন্য নতুন ও তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো হবে। দলের নেতারা জানান, আগামী কাউন্সিলে ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতাকে তুলে আনা হতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও আলোচনার গুঞ্জনে রয়েছেন দু’জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসতে পারে। সাংগঠনিক পদেও তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হতে পারে। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে কিংবা পরে মন্ত্রিসভার পরিবর্তন আসতে পারে। ১০ বছর সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও দলের যেসব কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হতে পারেননি, তাদের অনেকে মন্ত্রিসভার রদবদলের আশায় আছেন। তবে এবার মন্ত্রণালয়ে নতুনরা স্থান পেয়েছেন। তাদের মধ্য থেকেও পরিবর্তনের আশায় আছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন এমন অনেককেই সম্মেলনে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে। আবার দলীয় পদ থেকে বাদ পড়েছেন কিন্তু দলীয় সভাপতির আস্থায় আছেন এমন অনেককে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেয়া হতে পারে। তবে এসব ব্যাপারে দলীয় সভাপতির মনোভাব অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারে মন্ত্রিসভার সদস্য আছেন ৪৭ জন। আর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ৮১ সদস্যবিশিষ্ট। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটির পদে আছেন মন্ত্রিসভায় এমন সদস্য মাত্র ১০ জন। এদের বেশিরভাগই আগের কোনও মেয়াদেই মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেননি। ২০১৪-১৮ মেয়াদে দলের কমিটিতে থাকা মন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ১৯ জন।
দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,কাউন্সিল ঘিরে আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি শুরু করেছে। চলতি মাসের শেষ দিকে ৮টি টিমের সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা সফর করবেন। সেখানে সাংগঠনিক দিক দেখবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় ও জনপ্রিয় দলের কাউন্সিল ঘিরে নানা ধরনের হিসাব-নিকাষ হবে, আলোচনা হবে এটাই তো স্বাভাবিক। তবে সরকার ও দল আলাদা করার বিষয়ে দলীয় ফোরামে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। এদিকে দলের নেতারা জানান, দল এবং সরকার দু’টি আলাদা প্রতিষ্ঠান। দুটিকে স্বতন্ত্র রাখতে পারলে বেশি ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। তবে দল যাদের প্রয়োজন মনে করেছে তাদের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব দিয়েছে। আবার অনেককে একইসঙ্গে দল ও সরকার দুই জায়গাতেই রাখা হয়েছে। অনেক সময় মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দলীয় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে সেখানে তরুণদের আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা জানান, কাউন্সিল হলে নেতৃত্বে পরিবর্তন থাকে। সেক্ষেত্রে নতুনদের সুযোগ দেয়া হয়। আসন্ন কাউন্সিলে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সামনে রেখেই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,কাউন্সিল ঘিরে আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি শুরু করেছে। চলতি মাসের শেষ দিকে ৮টি টিমের সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা সফর করবেন। সেখানে সাংগঠনিক দিক দেখবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় ও জনপ্রিয় দলের কাউন্সিল ঘিরে নানা ধরনের হিসাব-নিকাষ হবে, আলোচনা হবে এটাই তো স্বাভাবিক। তবে সরকার ও দল আলাদা করার বিষয়ে দলীয় ফোরামে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। এদিকে দলের নেতারা জানান, দল এবং সরকার দু’টি আলাদা প্রতিষ্ঠান। দুটিকে স্বতন্ত্র রাখতে পারলে বেশি ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। তবে দল যাদের প্রয়োজন মনে করেছে তাদের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব দিয়েছে। আবার অনেককে একইসঙ্গে দল ও সরকার দুই জায়গাতেই রাখা হয়েছে। অনেক সময় মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দলীয় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে সেখানে তরুণদের আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা জানান, কাউন্সিল হলে নেতৃত্বে পরিবর্তন থাকে। সেক্ষেত্রে নতুনদের সুযোগ দেয়া হয়। আসন্ন কাউন্সিলে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সামনে রেখেই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।