খেলা
কেমন হলো বিশ্বকাপ দল?
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
৩০শে মে শুরু হবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অধিনায়ক করে ঘোষণা করা হয়েছে টাইগারদের স্বপ্নের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। কেমন হলো এই দল, ব্যাটিং-বোলিং কোথায় এগিয়ে, ইংলিশ কন্ডিশনে কতটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে দলের জন্য? এসব নিয়ে দৈনিক মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহম্মদ আশরাফুল ও দেশের প্রথম বিশ্বকাপ দলের অন্যতম সদস্য মেহরাব হোসেন অপি। তাদের কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
ইংল্যান্ডে বোলারদের কঠিন চ্যালেঞ্জ- মোহাম্মদ আশরাফুল
আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ দল। ব্যাটিংয়ের দিক বিবেচনা করলে দশটি দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রাখা যায়। হ্যাঁ, আপনারা বলতে পারেন দলে ইনজুরি আছে বেশ কয়েকজনের। এছাড়াও লিটন দাস, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকারের ফর্মে নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা ভালো করতে পারছে না। এই নয় যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারবে না। সৌম্যের কথাই বলি ও দারুণ প্রতিভাবান। একটা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালে দেখবেন ফের ফর্মে চলে এসেছে। সাব্বির ও লিটনের ক্ষেত্রে একই কথা বলবো। তামিমের ওপেনিং সঙ্গী সৌম্য বা লিটন যেই হোক, আশা করি খুব একটা চিন্তার কারণ হবে না। আর ইনজুরি তো অন্য বিষয়। সেটিতে কারো হাত নেই। এছাড়াও যে সময় বিশ্বকাপ শুরু হবে তখন ইংল্যান্ডে থাকবে গ্রীষ্মকাল। আমার নিজের ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি তখন ব্যাটসম্যানরা দারুণ সুবিধা পাবে সেখানে। দেখবেন প্রায় ম্যাচেই ২৫০ এর বেশি এমনকি ৩’শ রানও হবে। এজন্যই বলছি, এবার বোলারদের জন্য কঠিন হবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। মাশরাফির সঙ্গে পেস আক্রমণে আছে মোস্তাফিজ ও রুবেল। ওরা দারুণ অভিজ্ঞ ও প্রতিভাবান। সাইফুদ্দিন যে ফর্মে আছে তাতে ওর দলে থাকা নিশ্চিত ছিল। আর রাহীরও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি। তবে যতটা দেখেছি ওর বলে দারুণ সুইং আছে। এরপরও বলবো পেসাদের নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে সেখানে। আর স্পিনে সাকিব আছে তার সঙ্গে মিরাজ। আমার মনে হয় তারাই যথেষ্ট। কারণ ইংলিশ কন্ডিশনে স্পিনারদের বেশি কিছু করার থাকবে না।’
কোম্বিনেশন বিবেচনায় আমি এই দলের কাছে বেশি কিছু আশা করি। আমার মনে হয় নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ফাইনালেও খেলতে পারবে বাংলাদেশ। তবে যে বিষয়টা ভাবনা- অনেকগুলো ম্যাচ খেলতে হবে। তাই নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হবে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। বেশি ম্যাচ হলে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি।
সৌম্য-লিটন ভালো করবে বিশ্বাস করি- মেহেরাব হোসেন অপি
যে ১৫ জনের দল দেয়া হয়েছে আমি বলবো বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটি সময়ের সেরা। সব দিক থেকে দারুণ শক্তিশালী। তবে কিছু বিষয় খুব আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে, সৌম্য ও লিটনের ফর্ম নিয়ে। মানে তামিমের ওপেনিং পাটর্নার নিয়েই আমাদের যত চিন্তা। তবে আমার বিশ্বাস, এখানে যেই ওপেনার হিসেবে খেলুক ভালো করবে। এটা আমার তাদের প্রতি বার্তাও যে, যদি নিজেদের বিশ্বমঞ্চে প্রমাণ করতে হয় তাহলে মনোযোগ দিতে হবে। এখনই ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে। তামিমের বিষয়ে তো বলার কিছু নেই। বিশ্বের সেরা ওপেনারদের একজন সে। অভিজ্ঞতাও দারুণ। দলে আছেন সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ। ওদের ওপর চোখ বন্ধ করেই ভরসা করা যায়। এই দলে ৮ নাম্বার পর্যন্ত ব্যাটিং আছে। আপনি মোসাদ্দেককে দেখুন। ফর্মে আছে, সেঞ্চুরি করেছে ঢাকা লীগে। আবার দলকেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ওর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটাও দলের কাজে দেবে। মিঠুন তো এরই মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছে। সে হিসেবে আমি ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। হ্যাঁ, বোলিংটা চিন্তার কারণ হতে পারে তাও ইংল্যান্ডে সেই সময় গ্রীষ্মকাল চলবে বলে। আর আইসিসির ইভেন্টগুলোতে সাধারণত ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পায়। তাই মাশরাফির সঙ্গে যারা আছেন, পেস আক্রমণে তাদের সেরাটাই দিতে হবে। আর স্পিনারদেরও একই অবস্থা। এখানে সেরাটা না দিতে পারলে বিপদ হবে।
ইংল্যান্ডে বোলারদের কঠিন চ্যালেঞ্জ- মোহাম্মদ আশরাফুল
আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ দল। ব্যাটিংয়ের দিক বিবেচনা করলে দশটি দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রাখা যায়। হ্যাঁ, আপনারা বলতে পারেন দলে ইনজুরি আছে বেশ কয়েকজনের। এছাড়াও লিটন দাস, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকারের ফর্মে নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা ভালো করতে পারছে না। এই নয় যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারবে না। সৌম্যের কথাই বলি ও দারুণ প্রতিভাবান। একটা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালে দেখবেন ফের ফর্মে চলে এসেছে। সাব্বির ও লিটনের ক্ষেত্রে একই কথা বলবো। তামিমের ওপেনিং সঙ্গী সৌম্য বা লিটন যেই হোক, আশা করি খুব একটা চিন্তার কারণ হবে না। আর ইনজুরি তো অন্য বিষয়। সেটিতে কারো হাত নেই। এছাড়াও যে সময় বিশ্বকাপ শুরু হবে তখন ইংল্যান্ডে থাকবে গ্রীষ্মকাল। আমার নিজের ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি তখন ব্যাটসম্যানরা দারুণ সুবিধা পাবে সেখানে। দেখবেন প্রায় ম্যাচেই ২৫০ এর বেশি এমনকি ৩’শ রানও হবে। এজন্যই বলছি, এবার বোলারদের জন্য কঠিন হবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। মাশরাফির সঙ্গে পেস আক্রমণে আছে মোস্তাফিজ ও রুবেল। ওরা দারুণ অভিজ্ঞ ও প্রতিভাবান। সাইফুদ্দিন যে ফর্মে আছে তাতে ওর দলে থাকা নিশ্চিত ছিল। আর রাহীরও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি। তবে যতটা দেখেছি ওর বলে দারুণ সুইং আছে। এরপরও বলবো পেসাদের নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে সেখানে। আর স্পিনে সাকিব আছে তার সঙ্গে মিরাজ। আমার মনে হয় তারাই যথেষ্ট। কারণ ইংলিশ কন্ডিশনে স্পিনারদের বেশি কিছু করার থাকবে না।’
কোম্বিনেশন বিবেচনায় আমি এই দলের কাছে বেশি কিছু আশা করি। আমার মনে হয় নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ফাইনালেও খেলতে পারবে বাংলাদেশ। তবে যে বিষয়টা ভাবনা- অনেকগুলো ম্যাচ খেলতে হবে। তাই নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হবে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। বেশি ম্যাচ হলে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি।
সৌম্য-লিটন ভালো করবে বিশ্বাস করি- মেহেরাব হোসেন অপি
যে ১৫ জনের দল দেয়া হয়েছে আমি বলবো বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটি সময়ের সেরা। সব দিক থেকে দারুণ শক্তিশালী। তবে কিছু বিষয় খুব আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে, সৌম্য ও লিটনের ফর্ম নিয়ে। মানে তামিমের ওপেনিং পাটর্নার নিয়েই আমাদের যত চিন্তা। তবে আমার বিশ্বাস, এখানে যেই ওপেনার হিসেবে খেলুক ভালো করবে। এটা আমার তাদের প্রতি বার্তাও যে, যদি নিজেদের বিশ্বমঞ্চে প্রমাণ করতে হয় তাহলে মনোযোগ দিতে হবে। এখনই ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে। তামিমের বিষয়ে তো বলার কিছু নেই। বিশ্বের সেরা ওপেনারদের একজন সে। অভিজ্ঞতাও দারুণ। দলে আছেন সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ। ওদের ওপর চোখ বন্ধ করেই ভরসা করা যায়। এই দলে ৮ নাম্বার পর্যন্ত ব্যাটিং আছে। আপনি মোসাদ্দেককে দেখুন। ফর্মে আছে, সেঞ্চুরি করেছে ঢাকা লীগে। আবার দলকেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ওর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটাও দলের কাজে দেবে। মিঠুন তো এরই মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছে। সে হিসেবে আমি ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। হ্যাঁ, বোলিংটা চিন্তার কারণ হতে পারে তাও ইংল্যান্ডে সেই সময় গ্রীষ্মকাল চলবে বলে। আর আইসিসির ইভেন্টগুলোতে সাধারণত ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পায়। তাই মাশরাফির সঙ্গে যারা আছেন, পেস আক্রমণে তাদের সেরাটাই দিতে হবে। আর স্পিনারদেরও একই অবস্থা। এখানে সেরাটা না দিতে পারলে বিপদ হবে।