এক্সক্লুসিভ
ধর্ষণের পর চুল কর্তন সিগারেটের ছ্যাঁকা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৭ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে এক গার্মেন্ট কর্মীকে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস করে দেয়ার কথা বলায় শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা এবং খারাপ মেয়ে অপবাদ দিয়ে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রামের ওই পোশাককর্মী। আর এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক নিজাম উদ্দিন (৩০)সহ নির্যাতনকারী ৬ নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলো- নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৭) ও খালা পপি বেগম (৩০) শ্যালিকা সোনিয়া বেগম (২২) ও তার স্বামী মো. লিটন (২৯) এবং নিজামের নানি ফিরোজা বেগম (৬৫)। তাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায়। সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী আগ্রাবাদ মীর ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানার কর্মী। সোমবার রাতে থানায় এসে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, সিগারেটের ছ্যাঁকা এবং মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ করেন।
কিশোরীর অভিযোগ মতে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন একটি বাসায় রেখে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করে সিএনজি অটোরিকশা চালক নিজাম উদ্দিন। এরপর গত ৭ই এপ্রিল সকালে সদরঘাট থানাধীন পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার সোনিয়ার বাসায় ওই নারীকে নিয়ে আসে নিজাম। সেখানে নিজাম ছাড়া বাকি ৫ আসামি ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করে। এ সময় ধর্ষণের কথা ফাঁস করার কথা বলায় তার মাথার চুলে কেটে দেয়। মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। এসব আবার তারা ভিডিও ধারণ করে রাখে। এমনকি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে। রুহুল আমিন বলেন, প্রথমে ধর্ষণ, পরে চুলে কেটে দেয়া ও আগুনের ছ্যাঁকা দেয়া- খুবই অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতনের শিকার নারী কিছুটা সুস্থ হয়ে সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ করতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি বলেন, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। মামলা রেকর্ড করার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা নিজাম ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চুল কাটার কাচি, ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোন ও স্বাক্ষর নেয়া সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে।
কিশোরীর অভিযোগ মতে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন একটি বাসায় রেখে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করে সিএনজি অটোরিকশা চালক নিজাম উদ্দিন। এরপর গত ৭ই এপ্রিল সকালে সদরঘাট থানাধীন পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার সোনিয়ার বাসায় ওই নারীকে নিয়ে আসে নিজাম। সেখানে নিজাম ছাড়া বাকি ৫ আসামি ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করে। এ সময় ধর্ষণের কথা ফাঁস করার কথা বলায় তার মাথার চুলে কেটে দেয়। মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। এসব আবার তারা ভিডিও ধারণ করে রাখে। এমনকি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে। রুহুল আমিন বলেন, প্রথমে ধর্ষণ, পরে চুলে কেটে দেয়া ও আগুনের ছ্যাঁকা দেয়া- খুবই অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতনের শিকার নারী কিছুটা সুস্থ হয়ে সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ করতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি বলেন, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। মামলা রেকর্ড করার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা নিজাম ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চুল কাটার কাচি, ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোন ও স্বাক্ষর নেয়া সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে।