বাংলারজমিন
দখল দূষণে একাকার মুহুরী নদী
এম এ হাসান, পরশুরাম (ফেনী) থেকে
১৬ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
দখলে দূষণে বিপর্যস্ত মুহুরী নদী। ইজারা ছাড়াই মুহুরীর অন্তত ১০টি স্থানে চলছে বালু উত্তোলন। নদীর দুই পাশের জায়গা প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় পরিবর্তন হয়ে গেছে মুহুরীর গতিপথ। নানা ধরনের দূষণে মুহুরী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। মুহুরী নদী সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মুহুরী নদী পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নেমে এসেছে। এটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। ৬২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৭১ মিটার প্রস্থের মুহুরী নদীর প্রকৃতি সর্পিলাকার।
মুহুরী নদী ত্রিপুরার লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি লাভ করে মতাইছড়াসহ অর্ধশতাধিক ছড়া-খাল অতিক্রম করে পরশুরামের নিজ কালিকাপুর-মাঝিরখালি গ্রাম দিয়ে বিলোনিয়া সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ফেনী সদর ও সোনাগাজী উপজেলার বুক চিরে ফেনী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মুহুরী বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। পাহাড়ি বন্যার প্রবল চাপে নদীবাঁধ ভেঙে ও নদীর পাড় দখল করে বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ভারতের ভিতরে বিশাল আয়তনের চর সৃষ্টি করে মূল অবস্থান থেকে সরে আসে মুহুরী নদী। বাংলাদেশ অংশে নদীর অব্যাহত ভাঙনে চরের পরিধি ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে যে চরের সৃষ্টি হয়েছে, সেটি মুহুরীর চর নামে পরিচিত। এই চরের বিস্তৃতি ৯২.৩৩ একর। অমীমাংসিত এ চর নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহুবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশের রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের প্রচেষ্টায় মুহুরীর চরের সমস্যা প্রায় সমাধানের পথে। এছাড়াও মুহুরী নদীর অব্যাহত ভাঙনে পরশুরাম-ফুলগাজীর শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, মুহুরী নদীর দুই পাশের বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করে নদীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে। মুহুরী নদী এ অঞ্চলের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ভূমির গঠন সব কিছুর ওপর প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। মানুষের সংস্কৃতি-অর্থনীতিতেও এগুলোর প্রভাব অনস্বীকার্য। মুহুরী নদীকে রক্ষা করতে প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এব্যাপারে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (অতি. দায়িত্ব) জানান, নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে সরকার কাজ করছে। নদী দখলকারীদের তালিকা করা হয়েছে। উপরের নির্দেশ পেলে আমরা দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম শুরু করব।
মুহুরী নদী ত্রিপুরার লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি লাভ করে মতাইছড়াসহ অর্ধশতাধিক ছড়া-খাল অতিক্রম করে পরশুরামের নিজ কালিকাপুর-মাঝিরখালি গ্রাম দিয়ে বিলোনিয়া সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ফেনী সদর ও সোনাগাজী উপজেলার বুক চিরে ফেনী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মুহুরী বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। পাহাড়ি বন্যার প্রবল চাপে নদীবাঁধ ভেঙে ও নদীর পাড় দখল করে বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ভারতের ভিতরে বিশাল আয়তনের চর সৃষ্টি করে মূল অবস্থান থেকে সরে আসে মুহুরী নদী। বাংলাদেশ অংশে নদীর অব্যাহত ভাঙনে চরের পরিধি ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে যে চরের সৃষ্টি হয়েছে, সেটি মুহুরীর চর নামে পরিচিত। এই চরের বিস্তৃতি ৯২.৩৩ একর। অমীমাংসিত এ চর নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহুবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশের রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের প্রচেষ্টায় মুহুরীর চরের সমস্যা প্রায় সমাধানের পথে। এছাড়াও মুহুরী নদীর অব্যাহত ভাঙনে পরশুরাম-ফুলগাজীর শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, মুহুরী নদীর দুই পাশের বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করে নদীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে। মুহুরী নদী এ অঞ্চলের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ভূমির গঠন সব কিছুর ওপর প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। মানুষের সংস্কৃতি-অর্থনীতিতেও এগুলোর প্রভাব অনস্বীকার্য। মুহুরী নদীকে রক্ষা করতে প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এব্যাপারে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (অতি. দায়িত্ব) জানান, নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে সরকার কাজ করছে। নদী দখলকারীদের তালিকা করা হয়েছে। উপরের নির্দেশ পেলে আমরা দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম শুরু করব।