বাংলারজমিন
শিশুসহ ১৪ জন অসুস্থ এটলাস সি ফুডে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিকেজ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৬ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
খুলনার পশ্চিম রূপসায় অবস্থিত এটলাস সি ফুড নামে একটি মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিকেজ হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির পেছনে বসবাসরত শিশুসহ ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইনসাফ নার্সিংয়ে ভর্তি করা হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর আশপাশের লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেন। গত রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। খুলনার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাস লিকেজ হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রতিষ্ঠানের কারো ক্ষতি হয়নি। তবে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কিছু লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. মো. আলমগীর কবির জানান, এ গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এখানে ৯ জনকে মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলো- সাহেব আলী (৮০), জাকির হোসেন (১৩), রিফাত (১১), আরিফ (৩), নাসরিন (৪২), নওরিন (২৮), নওশিন (১৭), হেলেনা বেগম (৫৫) ও কানিজ ফাতেমা (৩৫)। রূপসা স্ট্রান্ড রোডের ইনসাফ নার্সিংয়ের ম্যানেজার হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার পর পর ১৫ থেকে ২০ জন লোক অ্যামোনিয়া গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে এখানে আসে। তাদের প্রাথমিক সাপোর্ট দিয়ে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেলায়েত হোসেন সড়কের মো. লিটন বলেন, ওই গ্যাস ইস্পাহানি সড়কের ১ ও ২নং লেন, বেলায়েত হোসেন সড়ক ও রূপসা স্ট্রান্ড রোডের ১ম গলি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাসে আক্রান্ত মনিরকে (৩০) ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইস্পাহানি সড়কের দ্বিতীয় লেনের বাসিন্দা করিমন বেগম বলেন, আগেও এ ধরনের গ্যাস লিকেজ এখানে হয়েছে। আজকেরটা বেশি ভয়াবহ। আবাসিক এলাকায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকাই উচিত না। এটলাস সি ফুডের মেশিনরুম হেলপার ওহিদুল আলম বলেন, গ্যাস লাইনের বাল্বের পাশে পাইপ লিকেজ হয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তা আটকে ফেলি।