বাংলারজমিন
ওসমানীনগর-বালাগঞ্জে কালবৈশাখীর তাণ্ডব
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি
১৬ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে এ দুই উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি। উপড়ে গেছে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ লাইন। গতকাল সকালে এ কালবৈশাখী আঘাত হানে। এদিকে, ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, গতকাল সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আক্রান্ত হয় ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ উপজেলা। কিছু বোঝার আগেই উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর, অসংখ্য গাছ পালা ও বোরো ফসল লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। কৃষকরা আটকা পড়েন ধান ক্ষেতে। ৬নং ফিডার ছাড়া দুটি উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে, বিভিন্ন লাইনে গাছ ভেঙে ঝুলে পড়ে । ওসমানীনগর উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, ৫৭টি গ্রাম ও ২৮ কিলোমিটার এলাকা ঝড়ের তাণ্ডবে আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে রয়েছে ৮৯০ জন লোক, পরিবার ১৭৮টি ও বিধ্বস্ত বাড়ি ১৭৮টি এবং ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, সিলেট-১ পল্লীবিদ্যুৎ কাশিকাপন জোনাল অফিসের ডিজিএম ফাইজুল্লা জানান, পল্লীবিদ্যুতের ১৬টি খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গেছে। ৯টি ফিডারের মধ্যে ৬নং ফিডার চালু করা হয়েছে। বাকিগুলো চালু করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ১৬০টি ঘর, ৭শ’ জন লোক ও ৬৬টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সহযোগিতা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঊর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে আমরা তালিকা তৈরি করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঊর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।
এদিকে, সিলেট-১ পল্লীবিদ্যুৎ কাশিকাপন জোনাল অফিসের ডিজিএম ফাইজুল্লা জানান, পল্লীবিদ্যুতের ১৬টি খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গেছে। ৯টি ফিডারের মধ্যে ৬নং ফিডার চালু করা হয়েছে। বাকিগুলো চালু করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ১৬০টি ঘর, ৭শ’ জন লোক ও ৬৬টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সহযোগিতা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঊর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে আমরা তালিকা তৈরি করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঊর্ধ্বতন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।