অনলাইন

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন, কর্মীদের হাতাহাতি (ভিডিও)

কূটনৈতিক রিপোর্টার

৮ এপ্রিল ২০১৯, সোমবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরের বহিরাগমন টার্মিনালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। নিজেদের মতো করে ছিল তাদের অবস্থান। শুরুটা ভালই ছিল। মন্ত্রী একে একে সবাইকে ছবি তোলার সুযোগ দিচ্ছিলেন। ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর ওই আয়োজনে জটলাও বাড়ছিল।

ঠেলা-ধাক্কায় অনেকে টিকতে পারছিলেন না। মন্ত্রী অবশ্য অনেককে ডেকে কাছে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছিলেন। এ অবস্থায় তিনি  গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপও সেরে নেন। কিন্তু ব্রিফিং শেষ হতে না হতেই ঘটে বিপত্তি। ছবি তোলার জন্য মন্ত্রীকে ঘিরে হৈ চৈ বাড়তে থাকে। অবশ্য সেখানেও তিনি এবং তার সুহৃদরা চেষ্টা করেছেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।

কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত তা-ই ঘটলো। দ্বিধা-বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী পরিবারের কয়েকজন বিশৃঙ্খল সদস্যরা একে অন্যের প্রতি তেড়ে এলেন। ঠেলা-ধাক্কা থেকে এবার হাতাহাতি! টাইম টেলিভিশনের ফেসবুক লাইভ তখনও চলছিল। সেখানে যা দেখা গেল কর্মীদের বাকবিতন্ডা, হাতাহাতি আর হৈ চৈ’র মূহুর্তে ভিড়ের মধ্যখান থেকে মন্ত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেন জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতারা।

উপস্থিত একাধিক নেতা এবং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আচমকা ওই ঘটনায় মন্ত্রী বিব্রত ও বিরক্ত। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশী ডায়াসফোরায় হরহামেশা ঘটা এমন ঘটনা বন্ধে সিনিয়র সিটিজেনদের আরও সক্রিয়তাও কামনা করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, লাইভ অনুষ্ঠানে দেখা যায় মন্ত্রী বাংলাদেশে জারি হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল এলার্ট নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। এটাকে চলার পথের ঘটনা এবং ছোটখাটো বিষয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে মন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ট্রাভেল এলার্ট জারির আগে বাংলাদেশকে জানালে আরও ভাল হতো। তিনি এ-ও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র না-কী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে হামলার আশঙ্কার খবর পেয়েছে। তবে ট্রাভেল এলার্ট জারির পরও মন্ত্রীর সঙ্গে বাসে চড়ে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজধানী থেকে অনেক দূরের পথ শ্রীমঙ্গলে গেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি রাষ্ট্র।

সে হিসাবে দেশটিতে কোন গুরুতর অপরাধী আশ্রয় পেতে পারে না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র আমন্ত্রণে স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে) যুক্তরাষ্ট্রে পৌছানো মন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরতের আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কিছুটা ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করবেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন সময় সোমবার সকালে হবে মোমেন-পম্পেও’র কাঙ্খিত সেই বৈঠক।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status