ভারত
মমতার চিঠির জবাবে নির্বাচন কমিশন
বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ দেবার প্রয়োজন নেই
পরিতোষ পাল, কলকাতা থেকে
৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, ২:২৬ পূর্বাহ্ন
পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠায় নির্বাচনের সব রকম দায়িত্ব থেকে নির্বাচন কমিশন কলকাতা ও বিধাননগরের কমিশনারসহ চার পুলিশ কর্তাকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনের আচরণকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছিলেন। চিঠি পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এর উত্তরে নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ দেবার কোনও প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, কমিশন পরিষ্কার করে জানিয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সবসময় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এক চিঠি পাঠিয়ে কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার এবং ডায়মন্ড হারবার ও বীরভূমের পুলিশ সুপারদের নির্বাচনের কাজ থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই অপসারণের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবারই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি লিখে কমিশনের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত একতরফা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কমিশন এমন পদক্ষেপ করেছে। চিঠিতে মমতা আরও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি’র ‘আদেশে’ কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পুলিশ অফিসার অপসারণের খবর পেয়েই উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে থাকা মুখ্যমন্ত্রী তার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কথা বলেন দিল্লির কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গেও। ওই রাতেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিষয়টিকে পুরোপুরি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। সরাসরি চিঠি লিখে আঙুল তোলা হবে নির্বাচন কমিশনের ‘পক্ষপাতমূলক’ ভূমিকার দিকে। তা নিয়ে তদন্তের দাবিও তুলেছেন মমতা।