ভারত
ক্ষুব্ধ আদবানী দলে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বললেন
কলকাতা প্রতিনিধি
৫ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
অবশেষে বিজেপির প্রবীণ নেতা ও দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আদবাণী মুখ খুলেছেন। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে বিজেপি কিভাবে রক্ষা করে এসেছে সেকথাই তিনি একটি ব্লগে তুলে ধরেছেন। তাঁর লেখার ইঙ্গিত যে মোদী-শাহ জুটির দিকে সেটা খুবই স্পষ্ট। এবারের নির্বাচনে আদবাণীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয় নি দল। দলের সভাপতি অমিত শাহ দীর্ঘদিন ধরে গুজরাটের গান্ধীনগর আসনে জিতে আসা আদবাণীর বদলে নিজেই এবার প্রার্থী হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জুটি দলের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেবার পর থেকে দলের প্রবীণদের কোনঠাসা করে রেখেছেন। আদবাণীকে দলের মার্গদর্শক মন্ডলীর সদস্য করে দলের নীতি নির্ধারণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এবার নির্বাচনের আগে আদবাণীকে সরাসরি নির্বাচনে না দাঁড়াতে দিয়ে অবসরে যেতে বাধ্য করায় রুষ্ট হয়েছেন তিনি। তবে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় চুপ করে থাকলেও আদবাণী তার অসন্তোষ বৃহষ্পতিবার একটি ব্লগে প্রকাশ করেছেন। ব্লগে তিনি যে লেখাটি লিখেচেন, তার শিরোণাম করেছেন, ”প্রথমে দেশ, পরে দল , শেষে ব্যক্তি ”।
এই লেখায় আদবাণী দলের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেছেন, পিছনের দিকে তাকাও, সামনের দিকে তাকাও এবং নিজেদের দিকে তাকাও। কেউ রাজনৈতিক মতের বিরোধী হলেই তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়াটা বিজেপির জাতীয়তাবাদ নয় বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। বিরোধীদের অভিযোগ, কাজ দিয়ে নয়, উগ্র জাতীয়তাবাদের ঢেউ তুলে ভোটে জিততে চেয়ে সেনাকে হাতিয়ার করতে চাইছেন মোদী। আডবাণী তাঁর লেখায় ঠিক সেখানেই আঘাত করেছেন। প্রবীণ এই নেতা লিখেছেন, দল ও বৃহত্তরভাবে জাতীয় স্তরে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করা ছিল বিজেপির গর্বের বিষয়। তাঁর মতে, ভারতীয গণতন্ত্রের মূল কথাই হল বৈচিত্র্য এবং বাক স্বাধীনতাকে সম্মান করা। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপি কখনোই আমাদের মতের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে অমিলদের শত্রু বলে গণ্য করেনি, শুধুমাত্র আমাদের বিরুদ্ধবাদী হিসেবেই গণ্য করেছে। আদবাণী স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারতীয জাতীয়তা নিয়ে আমাদের ধারণায় কখনোই আমরা রাজনৈতিকভাবে মতের অমিল যাদের সঙ্গে রয়েছে তাদের দেশদ্রোহী বলে মনে করিনি। বিজেপি সবসময়ই প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত ও রাজনীতিগতভাবে মত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ থেকেছে। আদবাণী আরও বলেচেন, সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা রক্ষা, অবাধ ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিজেপি সবসময় প্রথম সারিতে থেকেছে।
এই লেখায় আদবাণী দলের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেছেন, পিছনের দিকে তাকাও, সামনের দিকে তাকাও এবং নিজেদের দিকে তাকাও। কেউ রাজনৈতিক মতের বিরোধী হলেই তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়াটা বিজেপির জাতীয়তাবাদ নয় বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। বিরোধীদের অভিযোগ, কাজ দিয়ে নয়, উগ্র জাতীয়তাবাদের ঢেউ তুলে ভোটে জিততে চেয়ে সেনাকে হাতিয়ার করতে চাইছেন মোদী। আডবাণী তাঁর লেখায় ঠিক সেখানেই আঘাত করেছেন। প্রবীণ এই নেতা লিখেছেন, দল ও বৃহত্তরভাবে জাতীয় স্তরে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করা ছিল বিজেপির গর্বের বিষয়। তাঁর মতে, ভারতীয গণতন্ত্রের মূল কথাই হল বৈচিত্র্য এবং বাক স্বাধীনতাকে সম্মান করা। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপি কখনোই আমাদের মতের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে অমিলদের শত্রু বলে গণ্য করেনি, শুধুমাত্র আমাদের বিরুদ্ধবাদী হিসেবেই গণ্য করেছে। আদবাণী স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারতীয জাতীয়তা নিয়ে আমাদের ধারণায় কখনোই আমরা রাজনৈতিকভাবে মতের অমিল যাদের সঙ্গে রয়েছে তাদের দেশদ্রোহী বলে মনে করিনি। বিজেপি সবসময়ই প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত ও রাজনীতিগতভাবে মত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ থেকেছে। আদবাণী আরও বলেচেন, সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা রক্ষা, অবাধ ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিজেপি সবসময় প্রথম সারিতে থেকেছে।