দেশ বিদেশ
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার দাবির প্রতি আরো সমর্থন
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
দক্ষ নেতৃত্ব ও ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের ওপর নৃশংস হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেনকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার দাবি আরো জোরালো হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ২০,০০০ মানুষ। এ খবর দিয়েছে টিভি নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট গত ১৫ই মার্চ এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে নামাজরত কমপক্ষে ৫০ জন মুসল্লিকে। তার মধ্যে ছিল শিশু, নারী ও পুরুষ। সন্তানকে বাঁচাতে সেদিন নিজে মানবঢাল হিসেবে বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছেন কেউ কেউ। অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে মারা গেছেন। এমনই একজন বাংলাদেশের সিলেটের হুসনে আরা। এ ঘটনার পর পরই কালক্ষেপণ না করে প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন ছুটে গিয়েছেন মুসলিমদের কাছে। তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। হামলাকারীকে কোনো ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন। মুসলিমদের সঙ্গে গত শুক্রবারে জুমার নামাজের সময় উপস্থিত ছিলেন আল নূর মসজিদে। সেখানে ইমামের বয়ান শুনেছেন। নিজে পবিত্র হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এসবের মাধ্যমে তিনি মুসলিম সহ সব শ্রেণির মানুষের কাছে এক শ্রদ্ধার পাত্রী হয়ে উঠেছেন। বিশ্বজুড়ে তার প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। তারই প্রেক্ষিতে দুটি অনলাইন চেঞ্জ ডট অর্গ (Change.org) এবং আভাজ ডট অর্গ (AVAAZ.org) ওয়েবসাইটে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার পিটিশন করা হয়েছে। চেঞ্জ ডট অর্গে দেয়া পিটিশনে রোববার নাগাদ স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ১৮,০০০ মানুষ। তা আজ আরো বাড়বে। অন্যদিকে ফরাসি ওয়েবসাইট আভাজ ডট অর্গ-এ স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ২,৫০০ মানুষ।
চেঞ্জ ডট অর্গ-এর পিটিশন দাখিল করেছেন রাফিয়া সিদ্দিকী। এতে তিনি লিখেছেন, যদি একজন ব্যক্তির পরিবর্তে আত্মজ্ঞান ও সাহসের জন্য স্বতঃস্ফূর্ত বিবৃতির জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া যায় তাহলে তার দাবিদার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন।
তিনি সন্ত্রাসী হামলার দিনটিকে নিউজিল্যান্ডের কালোদিবস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হামলার পর পরই যেসব বক্তব্য, বিবৃতি দিয়েছেন, মাথায় হিজাব পরে মুসলিমদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন, বার বার ভিকটিমদের দেখতে ছুটে গিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চে, ছুটে গিয়েছেন নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে, দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্র আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন- তার জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেই পারেন। তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দুবাইয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জাসিনদা আরডেনের ছবি। এতে শোকার্ত একজন মুসলিম নারীকে জড়িয়ে ধরে আবেগী জাসিনদা আরডেনকে দেখা যাচ্ছে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। তিনি এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণের দিকে ফিরে তাকান নি। তিনি মানবতার ডাককে সবচেয়ে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন।
ওদিকে তার এমন মহানুভব মানসিকতার জন্য তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন একজন মুসলিম। এমন ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল। তাতে দেখা যায়, একজন মুসলিম জাসিনদাকে ইসলামে আহ্বান জানাচ্ছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবককে আলাপচারিতায় দেখা যায়। এতে ওই যুবক তাকে বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, আমি এখানে এসেছি আপনার জন্য। গত তিনটি দিন ধরে প্রতিদিন আমি কেঁদে যাচ্ছিলাম। আমি প্রার্থনা করেছি অন্য নেতারা আপনার নেতৃত্বের দক্ষতা দেখুক। আমার ইচ্ছা, আশা করি একদিন আপনি ইসলামে আসবেন।
জবাবে জাসিনদা আরডেন বলেন, ইসলাম মানবতার শিক্ষা দেয়। আমি মনে করি সেই শিক্ষা আমার আছে।
ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট গত ১৫ই মার্চ এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে নামাজরত কমপক্ষে ৫০ জন মুসল্লিকে। তার মধ্যে ছিল শিশু, নারী ও পুরুষ। সন্তানকে বাঁচাতে সেদিন নিজে মানবঢাল হিসেবে বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছেন কেউ কেউ। অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে মারা গেছেন। এমনই একজন বাংলাদেশের সিলেটের হুসনে আরা। এ ঘটনার পর পরই কালক্ষেপণ না করে প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন ছুটে গিয়েছেন মুসলিমদের কাছে। তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। হামলাকারীকে কোনো ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন। মুসলিমদের সঙ্গে গত শুক্রবারে জুমার নামাজের সময় উপস্থিত ছিলেন আল নূর মসজিদে। সেখানে ইমামের বয়ান শুনেছেন। নিজে পবিত্র হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এসবের মাধ্যমে তিনি মুসলিম সহ সব শ্রেণির মানুষের কাছে এক শ্রদ্ধার পাত্রী হয়ে উঠেছেন। বিশ্বজুড়ে তার প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। তারই প্রেক্ষিতে দুটি অনলাইন চেঞ্জ ডট অর্গ (Change.org) এবং আভাজ ডট অর্গ (AVAAZ.org) ওয়েবসাইটে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার পিটিশন করা হয়েছে। চেঞ্জ ডট অর্গে দেয়া পিটিশনে রোববার নাগাদ স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ১৮,০০০ মানুষ। তা আজ আরো বাড়বে। অন্যদিকে ফরাসি ওয়েবসাইট আভাজ ডট অর্গ-এ স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ২,৫০০ মানুষ।
চেঞ্জ ডট অর্গ-এর পিটিশন দাখিল করেছেন রাফিয়া সিদ্দিকী। এতে তিনি লিখেছেন, যদি একজন ব্যক্তির পরিবর্তে আত্মজ্ঞান ও সাহসের জন্য স্বতঃস্ফূর্ত বিবৃতির জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া যায় তাহলে তার দাবিদার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন।
তিনি সন্ত্রাসী হামলার দিনটিকে নিউজিল্যান্ডের কালোদিবস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হামলার পর পরই যেসব বক্তব্য, বিবৃতি দিয়েছেন, মাথায় হিজাব পরে মুসলিমদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন, বার বার ভিকটিমদের দেখতে ছুটে গিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চে, ছুটে গিয়েছেন নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে, দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্র আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন- তার জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেই পারেন। তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দুবাইয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জাসিনদা আরডেনের ছবি। এতে শোকার্ত একজন মুসলিম নারীকে জড়িয়ে ধরে আবেগী জাসিনদা আরডেনকে দেখা যাচ্ছে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। তিনি এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণের দিকে ফিরে তাকান নি। তিনি মানবতার ডাককে সবচেয়ে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন।
ওদিকে তার এমন মহানুভব মানসিকতার জন্য তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন একজন মুসলিম। এমন ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল। তাতে দেখা যায়, একজন মুসলিম জাসিনদাকে ইসলামে আহ্বান জানাচ্ছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবককে আলাপচারিতায় দেখা যায়। এতে ওই যুবক তাকে বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, আমি এখানে এসেছি আপনার জন্য। গত তিনটি দিন ধরে প্রতিদিন আমি কেঁদে যাচ্ছিলাম। আমি প্রার্থনা করেছি অন্য নেতারা আপনার নেতৃত্বের দক্ষতা দেখুক। আমার ইচ্ছা, আশা করি একদিন আপনি ইসলামে আসবেন।
জবাবে জাসিনদা আরডেন বলেন, ইসলাম মানবতার শিক্ষা দেয়। আমি মনে করি সেই শিক্ষা আমার আছে।