বাংলারজমিন
তাহিরপুরে শিশুর আঙ্গুল কেটে দেয়া সেই যুবলীগ নেতা জেলে
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ফসল রক্ষা বাঁধের ওপর ওঠার অপরাধে কাঁচি দিয়ে শিশুর চারটি আঙ্গুল কেটে দেয়া যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাটিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্ট হাজতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতাকে জেল হাজতে পাঠায় তাহিরপুর থানা পুলিশ। আটককৃত যুবলীগ নেতার নাম আবদুল অদুদ। সে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামের জমির আলীর ছেলে ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। ঘটনার পর পরই অদুদ গা-ঢাকা দেয়। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানার এস আই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অনেক চেষ্টায় প্রায় এক বছর পর সোলেমানপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য, গেল বছরের ১৮ই মার্চ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের হাওরের ময়নাখালি বেড়িবাঁধে সোলেমানপুর গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে ইয়ামিন সহ কয়েকজন মিলে নির্মাণাধীন ফসল রক্ষা বাঁধের ওপর খেলা করছিল। খেলা করার অপরাধে শিশু ইয়ামিনের ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয় যুবলীগ নেতা ও তখনকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি অদুদ। এই বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সময়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন হয়।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, শিশু ইয়ামিনের পিতা শাহানুর মিয়া বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২০শে মার্চ ঘটনার মূল হোতা অদুদ মিয়া ও তার সহোদর আলম মিয়াকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা করে। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক চেষ্টার পর অদুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জেল হাজতে পাটিয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, শিশু ইয়ামিনের পিতা শাহানুর মিয়া বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২০শে মার্চ ঘটনার মূল হোতা অদুদ মিয়া ও তার সহোদর আলম মিয়াকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা করে। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক চেষ্টার পর অদুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জেল হাজতে পাটিয়েছে।