এক্সক্লুসিভ
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন আবরার
স্টাফ রিপোর্টার
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। সড়কেই ঝরে গেল তার জীবন। গতকাল বেপরোয়া বাসে পিষ্ট হয়ে নিহত আবরার আহমেদ চৌধুরী এর আগে বাস চাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন বলে তার সতীর্থরা জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পাতায়ও নিরাপদ সড়কের দাবির পোস্টার রয়েছে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার। তার ফেসবুক ওয়াল ঘুরে দেখা যায়- আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে দেয়া বেশকিছু স্ট্যাটাস। আবার শেয়ার দিয়েছেন আন্দোলনকেন্দ্রিক বেশকিছু সংবাদ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য, আন্দোলনের সময়কার উঠে আসা নানা অনিয়মের চিত্র। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ইত্যাদি।
আবরারের সহপাঠী ও আন্দোলনের সঙ্গী ওরিশা রহমান বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে হওয়া আমাদের সড়কে সরব অবস্থান ছিল। আমরা সড়কে ছিলাম। গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিয়েছি। রাস্তায় যানবাহনের লাইসেন্স চেক করেছি। কিন্তু সেই সড়কেই ঝরলো তার প্রাণ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই। আন্দোলনের কথা বলেন তার আরেক বন্ধু নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, আবরার আন্দোলনের সময় সড়কে অবস্থান নিয়েছিলো। লিখেছিলো ফেস্টুন। তার দেয়া স্লোগানেও আমরা গলা মিলিয়েছি। আবরারের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তমাল আহমেদ বলেন, আবরারের এই মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা যে দাবিতে সড়কে আন্দোলন করলাম। তারই শিকার হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রাণ গেল। এ মৃত্যু মেনে নেয়া বড়ই কষ্টের। এদিকে শিক্ষকদের কাছেও প্রিয়পাত্র ছিলেন আবরার। ফেসবুকে এক ছবিতে দেখা যায় গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ প্রতিযোগিতায় হয়েছিলেন প্রথম।
আবরারের শিক্ষক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিনথিয়া চাকমা কৃষ্ণা বলেন, আবরার খুবই ভালো নম্র ভদ্র ছিল। সেই সঙ্গে ছিল হাসি-খুশি ও প্রাণবন্ত। আরেকজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক শায়লা সুলতানা বলেন, আবরার এক কথায় মনে রাখার মতো ছাত্র ছিল। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রতিযোগিতামূলক বিষয়ে অংশগ্রহণ করতো। সেই সঙ্গে ছিল অত্যন্ত মেধাবী।
আবরারের সহপাঠী ও আন্দোলনের সঙ্গী ওরিশা রহমান বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে হওয়া আমাদের সড়কে সরব অবস্থান ছিল। আমরা সড়কে ছিলাম। গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিয়েছি। রাস্তায় যানবাহনের লাইসেন্স চেক করেছি। কিন্তু সেই সড়কেই ঝরলো তার প্রাণ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই। আন্দোলনের কথা বলেন তার আরেক বন্ধু নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, আবরার আন্দোলনের সময় সড়কে অবস্থান নিয়েছিলো। লিখেছিলো ফেস্টুন। তার দেয়া স্লোগানেও আমরা গলা মিলিয়েছি। আবরারের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তমাল আহমেদ বলেন, আবরারের এই মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা যে দাবিতে সড়কে আন্দোলন করলাম। তারই শিকার হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রাণ গেল। এ মৃত্যু মেনে নেয়া বড়ই কষ্টের। এদিকে শিক্ষকদের কাছেও প্রিয়পাত্র ছিলেন আবরার। ফেসবুকে এক ছবিতে দেখা যায় গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ প্রতিযোগিতায় হয়েছিলেন প্রথম।
আবরারের শিক্ষক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিনথিয়া চাকমা কৃষ্ণা বলেন, আবরার খুবই ভালো নম্র ভদ্র ছিল। সেই সঙ্গে ছিল হাসি-খুশি ও প্রাণবন্ত। আরেকজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক শায়লা সুলতানা বলেন, আবরার এক কথায় মনে রাখার মতো ছাত্র ছিল। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রতিযোগিতামূলক বিষয়ে অংশগ্রহণ করতো। সেই সঙ্গে ছিল অত্যন্ত মেধাবী।