ভারত
আধাসামরিক বাহিনীর টহল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উষ্মা
কলকাতা প্রতিনিধি
১৮ মার্চ ২০১৯, সোমবার, ৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
লোকসভা নির্বাচনের এখনও তিন সপ্তাহ বাকী। কিন্তু এবারই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং কলকাতা শহরে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা অস্ত্র উচিয়ে টহল দেওয়া শুরু করেছে। প্রথম দফায় এসেছে ১০ কোম্পানি বিএসএফে জওয়ান। এরপরে দফায় আসছে আরও ৩৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক জানিয়েছেন, ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করতেই আধাসামরিক বাহিনী টহল দেওয়া শুরু করেছে। নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে এ বছর নির্বাচন কমিশন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করারও উদ্যোগ নিয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীর টহল নিয়ে মানুষের মনে প্রবল কৌতুহলও তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গলি গলি চেনার কাজ করার পাশাপাশি বহু জায়গাতেই মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কোথাও কোথাও সাবধান করে দিচ্ছেন যাতে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা না হয়। গত তিনদিনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতিদিন দুবেলা রুটিন করে জেলায় জেলায় রুট মার্চ শুরু করেছে। কলকাতার বৌবাজার, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, চিৎপুর, নিউ আলিপুর, চেতলা, উল্টোডাঙা ছাড়াও রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকাতেও রুট মার্চ করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। আধা সামরিক বাহিনীর রুট মার্চের ফলে যে ভোটারদের মনে আস্থার পরিবেশ তৈরি হবে সে ব্যাপারে একমত অনেকেই। তবে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের মদতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাহিনীর ‘আচরণ’ এর নিন্দা করে ফিরহাদ বলেছেন, আধা সামরিক বাহিনীর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ভয় দেখাচ্ছে। বাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোটারের চেয়ে ফৌজ বেশি। শুনছি ১২৩ কোম্পানি বাহিনী আসবে। এত ফৌজ তো কাশ্মীরেও আছে কি না সন্দেহ। অবশ্য নির্বাচন কমিশন সুত্রের খবর, বিএসএফের ১০টি কোম্পানিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং কলকাতায় মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্যে আরও ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তাদের অন্যত্র মোতায়েন করা হবে। গত সপ্তাহের দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং রাজ্যকে অতি সংবেদনশীল বলে ঘোষণার আরজি জানিয়েছেন এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বিজেপি রাজ্যের মানুষকে অপমান করছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে খুবই ভাল সেই দাবি করেছেন। তবে বিজেপি নেতারা কমিশনের কাছে কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একশ জনের মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরেছেন। রাজ্যের শাসক দল এসবের মধ্যে চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছে। আর তাই তৃণমূল কংগ্রেসের নারী সংগঠন ৪৮ ঘন্টা ধরণাতে সামিল হয়েছিলেন। তবে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের উষ্মা প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কাজ করছে। শাসক দলের নেতারা এত ভয় পাচ্ছেন কেন? নির্বিঘেœ নির্বাচন হলে কি তাঁদের হেরে যাওয়ার ভয় রয়েছে?
স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গলি গলি চেনার কাজ করার পাশাপাশি বহু জায়গাতেই মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কোথাও কোথাও সাবধান করে দিচ্ছেন যাতে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা না হয়। গত তিনদিনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতিদিন দুবেলা রুটিন করে জেলায় জেলায় রুট মার্চ শুরু করেছে। কলকাতার বৌবাজার, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, চিৎপুর, নিউ আলিপুর, চেতলা, উল্টোডাঙা ছাড়াও রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকাতেও রুট মার্চ করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। আধা সামরিক বাহিনীর রুট মার্চের ফলে যে ভোটারদের মনে আস্থার পরিবেশ তৈরি হবে সে ব্যাপারে একমত অনেকেই। তবে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের মদতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাহিনীর ‘আচরণ’ এর নিন্দা করে ফিরহাদ বলেছেন, আধা সামরিক বাহিনীর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ভয় দেখাচ্ছে। বাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোটারের চেয়ে ফৌজ বেশি। শুনছি ১২৩ কোম্পানি বাহিনী আসবে। এত ফৌজ তো কাশ্মীরেও আছে কি না সন্দেহ। অবশ্য নির্বাচন কমিশন সুত্রের খবর, বিএসএফের ১০টি কোম্পানিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং কলকাতায় মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্যে আরও ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তাদের অন্যত্র মোতায়েন করা হবে। গত সপ্তাহের দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং রাজ্যকে অতি সংবেদনশীল বলে ঘোষণার আরজি জানিয়েছেন এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বিজেপি রাজ্যের মানুষকে অপমান করছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে খুবই ভাল সেই দাবি করেছেন। তবে বিজেপি নেতারা কমিশনের কাছে কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একশ জনের মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরেছেন। রাজ্যের শাসক দল এসবের মধ্যে চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছে। আর তাই তৃণমূল কংগ্রেসের নারী সংগঠন ৪৮ ঘন্টা ধরণাতে সামিল হয়েছিলেন। তবে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের উষ্মা প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কাজ করছে। শাসক দলের নেতারা এত ভয় পাচ্ছেন কেন? নির্বিঘেœ নির্বাচন হলে কি তাঁদের হেরে যাওয়ার ভয় রয়েছে?