বিশ্বজমিন
ক্রাইস্টচার্চ হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ মার্চ ২০১৯, শনিবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। ওই হামলায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল জুমার নামাজের সময় মুসল্লিরা যখন মসজিদে সমবেত হন তখন সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের। এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ খবর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে পালিত হয়েছে এক মিনিটের নীরবতা। স্পিকার জন বারকাউ এ নীরবতা পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
রক্তপাতের এই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিম- সারা বিশ্বে। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক টুইট করেছেন এ হামলার বিরুদ্ধে। তিনি এই হামলার খবরকে ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, নিউজিল্যান্ড এ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংহতি পেতে পারে। তিনি এই হামলাকে নৃশংস বলেও আখ্যায়িত করেন। বলেন, ক্রাইস্টচার্চের এই হামলা কখনোই সহনশীলতা ও ধৈর্যকে বিনাশ করতে পারবে না। এই সহনশীলতা ও ধৈর্যের জন্য নিউজিল্যান্ড বিখ্যাত।
নিন্দা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড জিউস কাউন্সিল। এর প্রেসিডেন্ট স্টিফেন গুডম্যান বলেছেন, কত অসুস্থতা ও ভয়াবহ এ হামলা তা বর্ণনা করার মতো পর্যাপ্ত শব্দ নেই নিউজিল্যান্ড জিউস কাউন্সিলের। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে যে সমন্বিত হামলা হয়েছে তা বিধ্বংসী। জিউস ক্রনিকল পত্রিকাকে তিনি বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা ও সমর্থন প্রস্তাব করেছি আমরা। সন্ত্রাস ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এই সন্ত্রাস ও বর্ণবাদকে আমরা নিউজিল্যান্ড থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চাই।
নিউজিল্যান্ডের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা তাইকা ওয়েটিটিস বলেছেন, এমন নৃশংসতায় তার হৃদয় ভেঙে গেছে। তিনি হামলার পরে টুইটে বলেছেন, ওই হামলাকারী আমরা নই। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মানুষের বৈশিষ্ট্য এমন নয়।
ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ানে ডালজিয়েল এ হামলাকে ‘বিধ্বংসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, আমাদের শহর যেন চিরদিনের জন্য পাল্টে গেছে। তিনি লিখেছেন, এখন সময় হলো সহনশীলতা ও অন্যকে বোঝার।
হামলায় আহত হয়েছেন মালয়েশিয়ার দু’জন নাগরিক। সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা প্রকাশ করেছে। বলেছে, নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর এটা হলো একটি কাণ্ডজ্ঞানহীন সন্ত্রাসী হামলা। আশা করা হচ্ছে, যারা এই বর্বর অপরাধের জন্য দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে আমাদের ভাই ও বোনদের জন্য ফিজিবাসীর হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। অনিশ্চিত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভিকটিমদের মধ্যে রয়েছেন এক বা একাধিক ফিজির নাগরিক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন তিনি নিউজিল্যান্ডবাসীর পাশে আছেন। এটাকে তিনি এক অন্ধকার সময় বলে আখ্যায়িত করেন, যেখানে ঘৃণা ও সহিংসতা চুরি করে নিয়েছে শান্তি ও সরলতাকে। তিনি নিউজিল্যান্ডকে শক্তিশালী থাকারও আহ্বান জানান।
মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ হামলা হয়েছে এমন একটি স্থানে যেখানে শুক্রবারে জুমার নামাজ চলছিল।
নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, এই হামলা হলো বর্ণবাদ ও ইসলামবিরোধিতার সর্বশেষ উদাহরণ। নিন্দা জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেও। তিনি একে কঠোর সহিংসতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
নিন্দা জানিয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সব ক্ষেত্রে সব ভাবে হতে হবে সর্বোচ্চ এজেন্ডা। তিনি টিভি ২’কে বলেন, ক্রাইস্টচার্চের ওই গুলির ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় এন্ডারস ব্রেইভিকের হামলার কথা। ডানপন্থি এই উগ্রবাদী ২০১১ সালে নরওয়ের গ্রীষ্মে হত্যা করেছিল ৭৭ জনকে। সর্বশেষ এই হামলা থেকে এটাই দেখা যাচ্ছে যে, উগ্রবাদ সব দেশেই বিকশিত হচ্ছে।
ট্রাম্পের ‘উষ্ণ’ সমবেদনা
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপও টুইট করেছেন।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে হতাহতের প্রতি আমার ‘উষ্ণ’ সমবেদনা। যুক্তরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের পাশে আছে। এদিকে নিউজিল্যান্ডে কার্যরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে গেছে। আমরা আমাদের কিউই বন্ধুদের পাশে আছি এবং আমাদের প্রার্থনা সবসময় তোমাদের পাশে থাকবে।
বৃটিশ রানীর সমবেদনা
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে রানীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে যে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি শোকাহত। এতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি প্রিন্স ফিলিপ ও আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমি আরো কৃতজ্ঞতা জানাই স্বেচ্ছাসেবক ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে যারা আহতদের সেবা করছে। এই মর্মান্তিক সময়ে, নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের প্রতি আমার প্রার্থনা থাকবে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি করবিনের সংহতি
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন। তিনি বলেন, আমরা একাত্মতার সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চের মুসলিম সম্প্রদায় ও গোটা বিশ্বের মুসলিমদের পাশে আছি। হামলার পরপরই টুইটারে দেয়া এক বার্তায় করবিন এসব কথা বলেন।
হতভম্ব লন্ডনের মুসলিম বিদ্বেষী গোষ্ঠী
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনায় হতভম্ব লন্ডনের মুসলিম-বিদ্বেষী গ্রুপগুলো। ক্রাইস্টচার্চের মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তারা বলেছে, হামলাকারী হয়তো শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে।
মিসরের গ্র্যান্ড ইমামের নিন্দা
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মিসরের আল আজহারের গ্র্যান্ড ইমান আহমেদ আল তায়েব। তিনি বলেছেন, এটা বিদ্বেষী বক্তব্য, বিদেশি আতঙ্ক ও ইসলাম ভীতি ছড়িয়ে পড়ার বিধ্বংসী ফল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার এই বক্তব্য প্রচার করা হয়।
রক্তপাতের এই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিম- সারা বিশ্বে। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক টুইট করেছেন এ হামলার বিরুদ্ধে। তিনি এই হামলার খবরকে ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, নিউজিল্যান্ড এ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংহতি পেতে পারে। তিনি এই হামলাকে নৃশংস বলেও আখ্যায়িত করেন। বলেন, ক্রাইস্টচার্চের এই হামলা কখনোই সহনশীলতা ও ধৈর্যকে বিনাশ করতে পারবে না। এই সহনশীলতা ও ধৈর্যের জন্য নিউজিল্যান্ড বিখ্যাত।
নিন্দা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড জিউস কাউন্সিল। এর প্রেসিডেন্ট স্টিফেন গুডম্যান বলেছেন, কত অসুস্থতা ও ভয়াবহ এ হামলা তা বর্ণনা করার মতো পর্যাপ্ত শব্দ নেই নিউজিল্যান্ড জিউস কাউন্সিলের। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে যে সমন্বিত হামলা হয়েছে তা বিধ্বংসী। জিউস ক্রনিকল পত্রিকাকে তিনি বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা ও সমর্থন প্রস্তাব করেছি আমরা। সন্ত্রাস ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এই সন্ত্রাস ও বর্ণবাদকে আমরা নিউজিল্যান্ড থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চাই।
নিউজিল্যান্ডের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা তাইকা ওয়েটিটিস বলেছেন, এমন নৃশংসতায় তার হৃদয় ভেঙে গেছে। তিনি হামলার পরে টুইটে বলেছেন, ওই হামলাকারী আমরা নই। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মানুষের বৈশিষ্ট্য এমন নয়।
ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ানে ডালজিয়েল এ হামলাকে ‘বিধ্বংসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, আমাদের শহর যেন চিরদিনের জন্য পাল্টে গেছে। তিনি লিখেছেন, এখন সময় হলো সহনশীলতা ও অন্যকে বোঝার।
হামলায় আহত হয়েছেন মালয়েশিয়ার দু’জন নাগরিক। সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা প্রকাশ করেছে। বলেছে, নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর এটা হলো একটি কাণ্ডজ্ঞানহীন সন্ত্রাসী হামলা। আশা করা হচ্ছে, যারা এই বর্বর অপরাধের জন্য দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে আমাদের ভাই ও বোনদের জন্য ফিজিবাসীর হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। অনিশ্চিত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভিকটিমদের মধ্যে রয়েছেন এক বা একাধিক ফিজির নাগরিক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন তিনি নিউজিল্যান্ডবাসীর পাশে আছেন। এটাকে তিনি এক অন্ধকার সময় বলে আখ্যায়িত করেন, যেখানে ঘৃণা ও সহিংসতা চুরি করে নিয়েছে শান্তি ও সরলতাকে। তিনি নিউজিল্যান্ডকে শক্তিশালী থাকারও আহ্বান জানান।
মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ হামলা হয়েছে এমন একটি স্থানে যেখানে শুক্রবারে জুমার নামাজ চলছিল।
নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, এই হামলা হলো বর্ণবাদ ও ইসলামবিরোধিতার সর্বশেষ উদাহরণ। নিন্দা জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেও। তিনি একে কঠোর সহিংসতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
নিন্দা জানিয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সব ক্ষেত্রে সব ভাবে হতে হবে সর্বোচ্চ এজেন্ডা। তিনি টিভি ২’কে বলেন, ক্রাইস্টচার্চের ওই গুলির ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় এন্ডারস ব্রেইভিকের হামলার কথা। ডানপন্থি এই উগ্রবাদী ২০১১ সালে নরওয়ের গ্রীষ্মে হত্যা করেছিল ৭৭ জনকে। সর্বশেষ এই হামলা থেকে এটাই দেখা যাচ্ছে যে, উগ্রবাদ সব দেশেই বিকশিত হচ্ছে।
ট্রাম্পের ‘উষ্ণ’ সমবেদনা
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপও টুইট করেছেন।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে হতাহতের প্রতি আমার ‘উষ্ণ’ সমবেদনা। যুক্তরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের পাশে আছে। এদিকে নিউজিল্যান্ডে কার্যরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে গেছে। আমরা আমাদের কিউই বন্ধুদের পাশে আছি এবং আমাদের প্রার্থনা সবসময় তোমাদের পাশে থাকবে।
বৃটিশ রানীর সমবেদনা
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে রানীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে যে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি শোকাহত। এতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি প্রিন্স ফিলিপ ও আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমি আরো কৃতজ্ঞতা জানাই স্বেচ্ছাসেবক ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে যারা আহতদের সেবা করছে। এই মর্মান্তিক সময়ে, নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের প্রতি আমার প্রার্থনা থাকবে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি করবিনের সংহতি
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন। তিনি বলেন, আমরা একাত্মতার সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চের মুসলিম সম্প্রদায় ও গোটা বিশ্বের মুসলিমদের পাশে আছি। হামলার পরপরই টুইটারে দেয়া এক বার্তায় করবিন এসব কথা বলেন।
হতভম্ব লন্ডনের মুসলিম বিদ্বেষী গোষ্ঠী
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনায় হতভম্ব লন্ডনের মুসলিম-বিদ্বেষী গ্রুপগুলো। ক্রাইস্টচার্চের মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তারা বলেছে, হামলাকারী হয়তো শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে।
মিসরের গ্র্যান্ড ইমামের নিন্দা
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মিসরের আল আজহারের গ্র্যান্ড ইমান আহমেদ আল তায়েব। তিনি বলেছেন, এটা বিদ্বেষী বক্তব্য, বিদেশি আতঙ্ক ও ইসলাম ভীতি ছড়িয়ে পড়ার বিধ্বংসী ফল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার এই বক্তব্য প্রচার করা হয়।