প্রথম পাতা
‘লুক ইস্ট’ পলিসিতে জোর
মিজানুর রহমান
১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
চীন না ভারত- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী সফর কোথায় হতে যাচ্ছে তা নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন চলছে। তবে এটি নিশ্চিত যে, পূর্বের কোনো দেশেই হবে সরকার প্রধানের আগামীর সফর। প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত ‘লুক ইস্ট’ পলিসি বাস্তবায়নে জোর দিতে যাচ্ছেন- এমন ধারণা দিয়েছেন ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। জানিয়েছেন, এরইমধ্যে তিনি চীন সফরের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরটি আয়োজনে তৎপরতা শুরু করেছে সেগুনবাগিচা। চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ঢাকার চীনা দূতাবাসও দ্বিপক্ষীয় ওই সফর বাস্তবায়নে কাজ করছে। পেশাদাররা বলছেন, টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের বিষয়টিও নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় রয়েছে।
ভারতজুড়ে এখন নির্বাচনের ঝড়ো হওয়া বাইছে। দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের মনোযোগও এখন পুরোপুরিভাবে নিবদ্ধ লোকসভা নির্বাচনে। ফলে ঢাকা চাইলেও হয়তো এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের চিন্তা খুব একটি ফলপ্রসূ হবে না। বরং দিল্লির মসনদে প্রত্যাবর্তন বা পরিবর্তন যা-ই হোক নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সফর হবে বেশি কার্যকর- পেশাদারদের মধ্যে এমন মতই প্রবল। বাংলাদেশের বিদেশ নীতি দেখভালের সঙ্গে যুক্ত একাধিক দায়িত্বশীল প্রতিনিধি মানবজমিনকে বলেন, কেবল চীন বা ভারতই নয়, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরগুলোর তালিকায় জাপান এবং রাশিয়াকেও রাখা হয়েছে। নতুন সরকার গঠনের পরপরই (জানুয়ারিতে) জাপানের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ঢাকা সফর করেন। ক্ষমতার এই মেয়াদে এটিই ছিল কোনো বিদেশি অতিথির প্রথম সফর।
টোকিও’তে বিশ্ববাস্তবতায় এশিয়ার দেশগুলোর ভবিষ্যৎ বিষয়ক একটি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাপান সরকার। মে মাসের ওই সম্মেলন নিকি সম্মেলন নামে খ্যাত। এবারে এর ২৫তম আসর হবে। ওই আয়োজনকে সামনে রেখে জাপানে প্রধানমন্ত্রীর ‘দ্বিপক্ষীয়’ একটি সফরের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ চীন সফর করেন। আর ’১৬ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। সেই বিবেচনায় এবারে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর হলে, তা হবে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ঢাকা সফরের ফিরতি সফর।
ভারতজুড়ে এখন নির্বাচনের ঝড়ো হওয়া বাইছে। দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের মনোযোগও এখন পুরোপুরিভাবে নিবদ্ধ লোকসভা নির্বাচনে। ফলে ঢাকা চাইলেও হয়তো এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের চিন্তা খুব একটি ফলপ্রসূ হবে না। বরং দিল্লির মসনদে প্রত্যাবর্তন বা পরিবর্তন যা-ই হোক নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সফর হবে বেশি কার্যকর- পেশাদারদের মধ্যে এমন মতই প্রবল। বাংলাদেশের বিদেশ নীতি দেখভালের সঙ্গে যুক্ত একাধিক দায়িত্বশীল প্রতিনিধি মানবজমিনকে বলেন, কেবল চীন বা ভারতই নয়, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরগুলোর তালিকায় জাপান এবং রাশিয়াকেও রাখা হয়েছে। নতুন সরকার গঠনের পরপরই (জানুয়ারিতে) জাপানের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ঢাকা সফর করেন। ক্ষমতার এই মেয়াদে এটিই ছিল কোনো বিদেশি অতিথির প্রথম সফর।
টোকিও’তে বিশ্ববাস্তবতায় এশিয়ার দেশগুলোর ভবিষ্যৎ বিষয়ক একটি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাপান সরকার। মে মাসের ওই সম্মেলন নিকি সম্মেলন নামে খ্যাত। এবারে এর ২৫তম আসর হবে। ওই আয়োজনকে সামনে রেখে জাপানে প্রধানমন্ত্রীর ‘দ্বিপক্ষীয়’ একটি সফরের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ চীন সফর করেন। আর ’১৬ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। সেই বিবেচনায় এবারে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর হলে, তা হবে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ঢাকা সফরের ফিরতি সফর।