বাংলারজমিন
ধলেশ্বরীতে জেগেছে চর, চলছে বোরো চাষ
অজিত দত্ত, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) থেকে
১৩ মার্চ ২০১৯, বুধবার, ৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার দক্ষিণপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে জেগে উঠছে অসংখ্য চর। ধলেশ্বরী নদীর পথ দিয়েই প্রতিদিন যাত্রী ও পণ্য সামগ্রী নিয়ে লঞ্চ ও ট্রলারযোগে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই নদী পথ। বিগত অকাল বন্যায় পাহাড়ি ঢলে ধেয়ে আসা পলি মাটি নদীতে পড়ে ছোট ছোট চর ভেসে উঠেছে। এতে অষ্টগ্রাম থেকে ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদী পথের রাস্তা বন্ধ হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য ও পণ্য সামগ্রী পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। অষ্টগ্রাম থেকে ৫টি ইউনিয়নের সঙ্গে এই নদী সংযোগ রয়েছে। এবং ব্যবসা বাণিজ্য চলে আসছে। অষ্টগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী লিটন দেবনাথ জানান, নদীতে চর জেগে উঠার পর লঞ্চ ঘাটে না ভিড়ায় আমাদের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এ নদীপথ ব্যতীত অন্য রাস্তায় যাতায়াত সম্ভব হলেও পন্যসামগ্রী আমদানি করা সম্ভব নেই। বাইরে থেকে পণ্যসামগ্রী কম আসায় বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গ্রাহক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষোভের মুখে। জানা যায়, এই নদী পথ দিয়ে কুলিয়ার চর ভৈরব বাজিতপুর বাণিজ্যিক এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ শতাধিক যাত্রী আসা যাওয়া করে থাকেন। যা দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর পর্যন্ত পৌঁছে। নদীতে ভিম জাল ও বাঁশের ঝাঁক থাকায় নদীর এ বেহাল আরেক কারণ বলে সাধারণ জনগণ মনে করেন। ধলেশ্বরী নদীটি অষ্টগ্রাম, কাস্তুল, সাভিয়ানগর, বাহাদরুপুর, হুমায়ুনপুর, ভাটিনগর, কছুয়া, ডোবাজাইল, রাজাপুর, মেন্দীপুর হয়ে কুলিয়ারচর ও ভৈবর পর্যন্ত মেঘনার সঙ্গে সংযোগ।
অষ্টগ্রাম বাজার বণিক সমিতির সভাপতি রাজিব আহম্মেদ হেলুর সঙ্গে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি জানান, এখন নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় ২ কিলোমিটার দূর কাস্তুল গ্রাম থেকে এ সকল মালামাল ও আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয় এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে বিষয়টি অবগত করানো হয়েছে। তিনি জরুরি ভিত্তিতে নদী খনন করবেন বলে আশ্বাস দেন।
অষ্টগ্রাম বাজার বণিক সমিতির সভাপতি রাজিব আহম্মেদ হেলুর সঙ্গে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি জানান, এখন নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় ২ কিলোমিটার দূর কাস্তুল গ্রাম থেকে এ সকল মালামাল ও আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয় এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে বিষয়টি অবগত করানো হয়েছে। তিনি জরুরি ভিত্তিতে নদী খনন করবেন বলে আশ্বাস দেন।