খেলা
তামিমকে নিয়ে যা বললেন ওয়াগনার
স্পোর্টস ডেস্ক
১ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
ব্যাটসম্যানের শরীরে ক্রমাগত শর্ট বল করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লাগাম টানেন নিউজিল্যান্ড পেসার নেইল ওয়াগনার। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল তামিম ইকবাল। তবে এক প্রান্তে তামিম দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেও ওয়াগনারের কৌশলের কাছে উইকেট বিলিয়ে দেন মুমিনুল-মিঠুন-মাহমুদুল্লাহরা। গতকাল হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ৫ উইকেটের নৈপুণ্য দেখান এই বাঁহাতি বোলার। এতে দারুণ শুরুর পরও ২৩৪ রানে (৫৯.২ ওভার) গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তবে নিউজিল্যান্ড বোলারদের শাসন করে ওয়ানডে স্টাইলে ১২৮ বলে তামিম একাই করেন ১২৬ রান। আর প্রথম দিন শেষে তামিমের ব্যাটিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা ঝরে ওয়াগনারের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে এই কৌশলটা (বাউন্সার) বেশ সফল। তবে শরীরে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করাটা কঠিন। আমি সতীর্থদের কৃতিত্ব দেবো। মৃদু বাতাসে ক্যাচগুলো ছিল অসাধারণ।’ ওয়াগনারের পাঁচটি উইকেটই আসে ক্যাচ থেকে। তামিমের সামনে ওয়াগনারের কৌশল কাজে লাগেনি। ৪০ টেস্টে (হ্যামিল্টন টেস্ট বাদে) ১৫৮ উইকেট নেয়া এই পেসার বলেন, ‘আড়াআড়ি শটে তামিম বেশ দক্ষ এবং সুইংয়ের মধ্যে সে তা দেখিয়েছে। অসাধারণ সব শট খেলেছে সে। তাকে ডট বল দিতে আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হয়েছে। কারণ সে খুব দ্রুত রান তুলে আমাদের ওপর অনেক চাপ তৈরি করেছিল। আমি মনে করি বাংলাদেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। তামিম আমাদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিল এবং উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরতে আমাদের অনেক লড়াই করতে হয়েছে।’ টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবার পাঁচ উইকেট নিতে অপেক্ষা করতে হয় ওয়াগনারকে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগের ওভারে শরীরে ধারাবাহিক বাউন্সারে লেগ সাইডে ক্যাচ দেন মুমিনুল হক। আর ১২২/২ সংগ্রহ নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে হুক শটে উইকেট দেন মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর একে একে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি টানেন ওয়াগনার। বাজে শটে আউট না হলে তামিম নিজের ইনিংসটা আরো বড় করতে পারতেন। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ওয়াইড বাউন্সার মারতে গিয়ে গালি অঞ্চলে সরাসরি কেন উইলিয়ামসনের তালুবন্দি হন তিনি। ৪৪তম ওভারে তামিমের বিদায়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮০/৫।