বাংলারজমিন

ভাঙনের কবলে গোবরা বেড়িবাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না খুলনার কয়রাবাসীর। শীতের শেষে ও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই কপোতাক্ষ নদের পাড়ে হরিণখোলা বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুধু হরিণখোলা নয় অব্যাহত ভাঙনের কারণে কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা ও গোবরা পূর্বচক গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। ভাঙন রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর তীরবর্তী জনপদের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে ১৩-১৪/২-নং পোল্ডারের গোবরা, ঘাটাখালী ও হরিণখোলার বেড়িবাঁধ। শীত মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ধসে গেছে নদীর পাড়ের মাটি। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধের গোড়ায় মাটি না থাকায় সংকীর্ণ ও খাড়া হয়ে গেছে বেড়িবাঁধের রাস্তা। দুর্বল বাঁধ ভেঙে যে কোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের জনপদ। গত বুধবার রাতে হঠাৎ হরিণখোলা বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। তাৎক্ষণিক এলাকবাসী বাঁধ রক্ষায় কাজ করলেও ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে এলাকবাসী। বাঁধ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ। ঘাটাখালী ও হরিণখোলা গ্রামের হানিফ, খাদিজা বেগম, আত্তাফ শেখ, হাফিজুর রহমান, মুদি দোকানি তৈয়েব আলীসহ অনেকেই বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে বেড়িবাঁধের গোড়ার মাটিধস বেড়েই চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফ্‌ফার ঢালী বলেন, এবার শীত মওসুমেই শেষ হতে না হতেই হঠাৎ করে হরিণখোলার বেড়িবাঁধের গোড়ার মাটি ধসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আলম বলেন, কয়রা এলাকার ওয়াপদা বেড়িবাঁধের স্পর্শকাতর স্থানগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি উল্লেখ পূর্বক প্রতিবেদন তৈরি করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। কয়রা সদর ইউনয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা নাজমুছ ছাদাত বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে কয়রা সদরের দরিদ্র মানুষ বসতবাড়িসহ ফসলি জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে। ইতিপূর্বে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন শুরু হলেই ভাঙন রোধের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের তোড়জোড় শুরু হয়। যা শুধুই অপচয় মাত্র। স্থানীয়দের দাবি, নদীভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status