দেশ বিদেশ
চ ক বা জা র ট্র্যাজেডি
কোথাও বাবাকে খুঁজে পাননি নাসরিন
স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
পুরান ঢাকার চকবাজারের রাজ্জাক ভবন। চারতলা ওই ভবনের সামনে বেশ কিছু মানুষের জটলা। দূর থেকে ভেসে আসছিল এক তরুণীর আহাজারি। কাছে গিয়ে জানা যায় ওই তরুণীর নাম নাসরিন। বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার বাবা জয়নাল আবেদীন বাবুলকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবার ছবি হাতে নিয়ে তিনি অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন। নাসরিন জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ ও বার্ন ইউনিট কোথাও তার বাবাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলের পাশেই তাদের বাসা। রাত ১০টার দিকে তিনি চা খেতে এসেছিলেন চকবাজারের চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে। এরপরে আর তিনি ঘরে ফিরেননি।
ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে নাসরিন বলেন, যেই রাজ্জাক ভবন বুধবার রাতে পুড়ে গেছে, তার নিচ তলার একাংশে একটি রেস্তরা ছিল, আরেক অংশে প্লাস্টিকের গুদাম। দোতলা, তিনতলায়ও পাশাপাশি গুদাম ও বসতবাড়ি। সেই গুদামে ছিল কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, স্প্রের কৌটা। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু রাজ্জাক ভবন নয়, রাস্তার ওপাশের নিচ তলায় যারা ছিলেন, তারাও আগুনে পুড়ে মরেছেন। কিন্তু আমি মৃতদের তালিকায় বাবাকে খুঁজে পাইনি। শুধু তাই নয়, বার্ন ইউনিট, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভর্তি তালিকায় নাই বাবার নাম। তিনি বলেন, আমার বাবা মরে গেলেও যেন তার লাশটা খুঁজে পাই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাসরিন আরো বলেন, বাবা সন্ধ্যায় এশার নামাজের পর বাসায় এসে কোরআন তেলাওয়াত করেন। বুধবার রাতে তিনি চা খেতে বেরিয়েছিলেন। এরপর আর খুঁজে পাচ্ছি না।
ফোনটাও বন্ধ পাচ্ছি। এত জায়গায় খুঁজলাম কোথাও পাইনি। রাতে আগুনের ঘটনার পর পর বাবাকে সারারাত ফোন দিতে থাকি। কিন্তু ফোন বন্ধ। পরে ভোর হতেই বেরিয়ে পড়ি। এখানে কেউ আমার বাবাকে খুঁজে দিতে পারেনি। কোথায় যাবো আমরা? রাজ্জাক ভবনের সামনে সবাইকে ছবি দেখিয়ে নাসরিন বলেন, আপনারা আমার বাবার একটা খোঁজ দেন। নিখোঁজ হওয়া বাবুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অলক কুমার সরকার বলেন, জয়নুল আবেদিন বাবুলকে রাতে আগুন লাগার ঘটনার পর থেকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোথাও কেউ খোঁজ দিতে পারছেন না। মানুষটি মারা গেলেও তো তার লাশ থাকবে।
ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে নাসরিন বলেন, যেই রাজ্জাক ভবন বুধবার রাতে পুড়ে গেছে, তার নিচ তলার একাংশে একটি রেস্তরা ছিল, আরেক অংশে প্লাস্টিকের গুদাম। দোতলা, তিনতলায়ও পাশাপাশি গুদাম ও বসতবাড়ি। সেই গুদামে ছিল কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, স্প্রের কৌটা। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু রাজ্জাক ভবন নয়, রাস্তার ওপাশের নিচ তলায় যারা ছিলেন, তারাও আগুনে পুড়ে মরেছেন। কিন্তু আমি মৃতদের তালিকায় বাবাকে খুঁজে পাইনি। শুধু তাই নয়, বার্ন ইউনিট, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভর্তি তালিকায় নাই বাবার নাম। তিনি বলেন, আমার বাবা মরে গেলেও যেন তার লাশটা খুঁজে পাই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাসরিন আরো বলেন, বাবা সন্ধ্যায় এশার নামাজের পর বাসায় এসে কোরআন তেলাওয়াত করেন। বুধবার রাতে তিনি চা খেতে বেরিয়েছিলেন। এরপর আর খুঁজে পাচ্ছি না।
ফোনটাও বন্ধ পাচ্ছি। এত জায়গায় খুঁজলাম কোথাও পাইনি। রাতে আগুনের ঘটনার পর পর বাবাকে সারারাত ফোন দিতে থাকি। কিন্তু ফোন বন্ধ। পরে ভোর হতেই বেরিয়ে পড়ি। এখানে কেউ আমার বাবাকে খুঁজে দিতে পারেনি। কোথায় যাবো আমরা? রাজ্জাক ভবনের সামনে সবাইকে ছবি দেখিয়ে নাসরিন বলেন, আপনারা আমার বাবার একটা খোঁজ দেন। নিখোঁজ হওয়া বাবুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অলক কুমার সরকার বলেন, জয়নুল আবেদিন বাবুলকে রাতে আগুন লাগার ঘটনার পর থেকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোথাও কেউ খোঁজ দিতে পারছেন না। মানুষটি মারা গেলেও তো তার লাশ থাকবে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]