শেষের পাতা
রোহিঙ্গাদের হামলা
তিন জার্মান সাংবাদিকসহ আহত ৬
স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উত্তেজিত রোহিঙ্গাদের হামলায় ৩ জার্মান সাংবাদিক ও পুলিশসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট এর লম্বাশিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজন জার্মান সাংবাদিক ও একজন বাংলাদেশি দোভাষী, একজন পুলিশ ও একজন গাড়ির ড্রাইভার রয়েছে। আহতরা হলেন- জার্মান সাংবাদিক ইয়োচো লিওলি (৪৪), এস্ট্যাটিউ এপল (৪৯) ও গ্রান্ডস স্ট্যাফু (৬১)। তাদের বাংলাদেশি দোভাষী মো. সিহাবউদ্দিন (৪১) ও গাড়ির চালক নবীউল আলম (৩০)। পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন (৩৩)। কুতুপালং মধুরছড়া পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিন জানান, জার্মান সাংবাদিকরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ শেষ করে ফেরার পথে লম্বাশিয়া বাজারে এক রোহিঙ্গা পরিবারকে জামা কাপড় কিনে দিচ্ছিলেন। এই সময় রোহিঙ্গারা অপহরণকারী বলে গুজব ছড়িয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় রোহিঙ্গারা বিদেশিদের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা ক্যামেরা, তাদের কাগজপত্র (পাসপোর্ট) ও সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে সেনাক্যাম্প হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং গাড়িটি উদ্ধার করে উখিয়া থানায় নিয়ে আসেন পুলিশের সদস্যরা।
কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নূর জানান, জার্মান সাংবাদিকরা একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে কাপড় কিনে দেয়ার জন্য গাড়িতে উঠালে রোহিঙ্গারা বিষয়টি ভিন্নভাবে নিয়ে অপহরণকারী মনে করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৩ জন বিদেশি সাংবাদিক আহত হয়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের বলেন, জার্মান সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি সেনা, বিজিবি, র্যাব এক সঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক বা শনাক্ত করা যায়নি।
কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নূর জানান, জার্মান সাংবাদিকরা একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে কাপড় কিনে দেয়ার জন্য গাড়িতে উঠালে রোহিঙ্গারা বিষয়টি ভিন্নভাবে নিয়ে অপহরণকারী মনে করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৩ জন বিদেশি সাংবাদিক আহত হয়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের বলেন, জার্মান সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি সেনা, বিজিবি, র্যাব এক সঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক বা শনাক্ত করা যায়নি।