বাংলারজমিন
নাঙ্গলকোটে শাহীন হত্যা
এক বছরেও মামলার অগ্রগতি নেই
তাজুল ইসলাম, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে মুঠো ফোনে শ্বশুরবাড়ি চৌদ্দগ্রামে ডেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কর্তৃক জামাতা শাহীনকে নৃশংসভাবে হত্যার গতকাল এক বছর পূর্ণ হয়েছে। গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন শাহীনকে গলা কেটে, দু’পায়ে, হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুজাতপুরে ফেলে দিয়ে শাহীন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে অপপ্রচার চালায়। শাহীন হতাকাণ্ডকে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ শুরু থেকেই সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে শাহীনের মায়ের আদালতে হত্যা মামলা দায়েরের বিপরীতে পুলিশ আদালতে শাহীনের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনও দাখিল করেন। এতে হত্যা মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শাহীনের মৃত্যুকে নর হত্যা বলে উল্লেখ করেন। ফলে শাহীন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে প্রচারে পুলিশের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে শাহীনের মা মনকির বেগম শাহীনকে হত্যার ঘটনায় আদালতে পুনরায় মামলা করেন। আদালত শুনানি করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশকে মামলাটি এফ. আই. আর হিসেবে নিতে বলেন। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ গত বছরের ১ জুলাই মামলাটি এফ. আই. আর হিসেবে নেয়ার গত সাড়ে সাত মাসেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলার বাদী শাহীনের মা মনকির বেগম সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দ.) আবদুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়ে বলেন, পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন মনির বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের। আশা করছি এ বিষয়ে শিগগিরই জানতে পারবেন। তিনি শাহীনের স্ত্রীর দায়ের করা সড়ক দুর্ঘটনার মামলার বিষয়ে বলেন, আমি জানতে পেরেছি মামলাটির ফাইনাল প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
শাহীনকে হত্যার এক বছর পূর্তিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা গত বুধবার শাহীনের নানার বাড়ি নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাছি গ্রামে গিয়ে তার মা মনকির বেগমের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে শাহীন হত্যার বিচার চেয়ে মনকির বেগমের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। তিনি মাটিতে শুয়ে বিলাপ করতে-করতে বলেন, শাহীনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নৃশংসভাবে হত্যার এক বছরেও মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ এ পর্যন্ত মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ মামলার চার্জশিটও প্রদান করেনি। শাহীনের মা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ শাহীনের শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে শাহীন হত্যার ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, পুলিশ যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে আমরা কোথায় যাবো ? একমাত্র আদালতের ন্যায় বিচারই আমার ছেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারে বলে তিনি জানান।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আদালতে দাখিল করা হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দ.) আবদুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়ে বলেন, পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন মনির বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের। আশা করছি এ বিষয়ে শিগগিরই জানতে পারবেন। তিনি শাহীনের স্ত্রীর দায়ের করা সড়ক দুর্ঘটনার মামলার বিষয়ে বলেন, আমি জানতে পেরেছি মামলাটির ফাইনাল প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
শাহীনকে হত্যার এক বছর পূর্তিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা গত বুধবার শাহীনের নানার বাড়ি নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাছি গ্রামে গিয়ে তার মা মনকির বেগমের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে শাহীন হত্যার বিচার চেয়ে মনকির বেগমের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। তিনি মাটিতে শুয়ে বিলাপ করতে-করতে বলেন, শাহীনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নৃশংসভাবে হত্যার এক বছরেও মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ এ পর্যন্ত মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ মামলার চার্জশিটও প্রদান করেনি। শাহীনের মা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ শাহীনের শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে শাহীন হত্যার ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, পুলিশ যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে আমরা কোথায় যাবো ? একমাত্র আদালতের ন্যায় বিচারই আমার ছেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারে বলে তিনি জানান।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আদালতে দাখিল করা হয়নি।