অনলাইন
মর্গে আছিয়া বেগমের কান্না, ‘আমার ভাইডারে আনে দাও’
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
ছবিঃ জীবন আহমেদ
মর্গের বাইরে অসংখ্য স্বজনের আহাজারি। মর্গ চত্বরে মজিবর হাওলাদারের লাশের অপেক্ষায় তার ছেলে। থেকে থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মামুন। একটু পরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন। চেতন ফিরলেই আহাজারি করছেন, বাবা তুমি কেন কাল কাজের পরেও বাড়ি ফিরলা না। পাশেই মজিবর হাওলাদারের আরেক ছেলে নিথর দাঁড়িয়ে। কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
রাজীব মৃধা সন্তানের লাশের জন্য আহাজারি করছেন। আগুন লাগার ১০ মিনিট আগেও তার ছেলের সাথে কথা হয় মোবাইলে। রাজীব মৃধার একই কথা, আমার ছেলে মরতে পারে না। আমার ছেলে কই?
আছিয়া বেগম হারিয়েছেন ৬ বছর বয়সী ছোট ভাইকে। মোবাইলে ছবি দেখিয়ে আহাজারি করছেন। লুটিয়ে পড়ছেন আর বলছেন আমার ভাইডারে আনে দাও। আমার ভাই স্কুলে যাবে।
এমন অসংখ্য স্বজনের কান্নায় ভাড়ি ঢাকা মেডিকেলেল মর্গ চত্বর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থরে থরে সাজানো লাশ। অধিকাংশ লাশ পুড়ে গেছে। শনাক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে স্বজনদের। মর্গের বাইরে কান্নারত অবস্থায় অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। এক একটি গাড়ি করে লাশ আসছে আর ভিড় করছেন স্বজনরা। লাশ ঘিরে চলছে স্বজনদের গগণবিদারী হাহাকার।
শাহবাগ থানার এস আই মো, জসিম উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত মর্গে এসেছে ৫৮ পুরুষ, ৫ নারী ও ৪ শিশুর লাশ। এছাড়াও তিনি জানান, বার্ণ ইউনিটে আছে ১২ জন ও আর আহত ২৬ জন ঢামেকে ভর্তি রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ১৯ জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তকরণ কাজে স্বজনরা তথ্য দিতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। তথ্য নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, একটি পিক আপ ভ্যানের সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয় প্রথমে। এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে টান্সমিটারে। এর পর ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হলে বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ভিতর রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ থাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে খুব দ্রুত।
চকবাজার ট্রাজেডিতে তাসলিমা আক্তার হারিয়েছেন তার ২ দুই ভাই, ভাইয়ের ২ বাচ্চা। এখনও লাশ পাননি তিনি। ভাইয়ের খোঁজে এসেছেন কাজী এনামুল হক। তিনিও লাশ শনাক্ত করতে পারেননি।
অনেক স্বজনের অভিযোগ লাশ শনাক্ত করণের পরেও লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে না। পুলিশ বলছে অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য দেরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতরাতে পুরনো ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনে এখনও পর্যন্ত ৭০ জন নিহত হয়েছে।
রাজীব মৃধা সন্তানের লাশের জন্য আহাজারি করছেন। আগুন লাগার ১০ মিনিট আগেও তার ছেলের সাথে কথা হয় মোবাইলে। রাজীব মৃধার একই কথা, আমার ছেলে মরতে পারে না। আমার ছেলে কই?
আছিয়া বেগম হারিয়েছেন ৬ বছর বয়সী ছোট ভাইকে। মোবাইলে ছবি দেখিয়ে আহাজারি করছেন। লুটিয়ে পড়ছেন আর বলছেন আমার ভাইডারে আনে দাও। আমার ভাই স্কুলে যাবে।
এমন অসংখ্য স্বজনের কান্নায় ভাড়ি ঢাকা মেডিকেলেল মর্গ চত্বর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থরে থরে সাজানো লাশ। অধিকাংশ লাশ পুড়ে গেছে। শনাক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে স্বজনদের। মর্গের বাইরে কান্নারত অবস্থায় অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। এক একটি গাড়ি করে লাশ আসছে আর ভিড় করছেন স্বজনরা। লাশ ঘিরে চলছে স্বজনদের গগণবিদারী হাহাকার।
শাহবাগ থানার এস আই মো, জসিম উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত মর্গে এসেছে ৫৮ পুরুষ, ৫ নারী ও ৪ শিশুর লাশ। এছাড়াও তিনি জানান, বার্ণ ইউনিটে আছে ১২ জন ও আর আহত ২৬ জন ঢামেকে ভর্তি রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ১৯ জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তকরণ কাজে স্বজনরা তথ্য দিতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। তথ্য নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, একটি পিক আপ ভ্যানের সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয় প্রথমে। এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে টান্সমিটারে। এর পর ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হলে বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ভিতর রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ থাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে খুব দ্রুত।
চকবাজার ট্রাজেডিতে তাসলিমা আক্তার হারিয়েছেন তার ২ দুই ভাই, ভাইয়ের ২ বাচ্চা। এখনও লাশ পাননি তিনি। ভাইয়ের খোঁজে এসেছেন কাজী এনামুল হক। তিনিও লাশ শনাক্ত করতে পারেননি।
অনেক স্বজনের অভিযোগ লাশ শনাক্ত করণের পরেও লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে না। পুলিশ বলছে অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য দেরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতরাতে পুরনো ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনে এখনও পর্যন্ত ৭০ জন নিহত হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]