বাংলারজমিন
লোহাগড়ায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বার মামলা
নড়াইল প্রতিনিধি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়গ্রামে ধর্ষণের শিকার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই বিধবা মহিলা বাদী হয়ে গত সোমবার থানায় একটি মামলা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি জাফর মোল্যাকে আটক করেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রায়গ্রামের অনিল কুমার বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি আরেক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রেখে গত ২ বছর আগে অনিল বিশ্বাস মারা যায়। বিধবা মহিলা তার দুটি শিশু সন্তান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত বছরের আগস্ট মাসে সে প্রতিবেশী জাফর মোল্যার নির্মাণাধীন পাকা বাড়িতে দিন মজুর হিসেবে মাটি কাটার কাজ করে। বাড়ির কাজের তদারকি করেন জাফর মোল্যার শ্যালক একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মীনার ছেলে ইমদাদুল মীনা (৪৫)। ঘটনার দিন বৃষ্টির সময় ওই বাড়িতে ওই নারীকে একাকী পেয়ে ইমদাদুল মীনা তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কাউকে না বলার জন্য বলে। বললে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি লোকলজ্জা ও প্রাণের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি ওই বিধবা। কিন্তু এরই মধ্যে অনাগত সন্তান দিন দিন বড় হতে থাকায় প্রতিবেশিরা তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিষয়টি পাড়ার মহিলাদের কাছে খুলে বলে। এর পর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়ে। এ সময় ধর্ষক ইমদাদুল মিনার ভগ্নিপতি জাফর মোল্যা ও ভাই তারিকুল মিনা এ বিষয়ে মামলা না করার জন্য ওই মহিলাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং ভিটেবাড়ি বিক্রি করে ভারতে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ ঘটনা লোহাগড়া থানা পুলিশ জানতে পেরে থানায় এনে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে সে বাদী হয়ে ধর্ষক ইমদাদুল মিনাসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং এজাহারভুক্ত আসামি ধর্ষকের ভগ্নিপতি জাফর মোল্যাকে আটক করা হয়েছে।