বাংলারজমিন
পঞ্চগড়ের ৩ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী
সাবিবুর রহমান সাবিব, পঞ্চগড় থেকে
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
সব দলের অংশগ্রহণমূলক না হলেও উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে পঞ্চগড় জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে ৩টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। শুধু সদর উপজেলায় বিএনপি প্রার্থী ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় একজন বিএনপি সমর্থক প্রার্থী ভোটযুদ্ধ করছেন। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অনেকে ভোটই দিতে যাবে না বলে মন্তব্য করেছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু দাউদ প্রধান, জাগপা নেতা তৌফিক হোসেন ও কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। আমিরুল এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট সমর্থিত। পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মজাহারুল হক প্রধানের সমর্থিত চেয়ারম্যান পদের জন্য ৩ জনের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু এদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন না পাওয়ায় এ পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অসন্তোষের কারণসহ জামায়াত এবার প্রার্থী না দেয়ায় বিএনপি নেতা আবু দাউদ প্রধান সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তেঁতুলিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াই করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা আখতার হীরা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি সমর্থক মুক্তারুল হক মুকু ও জাতীয় পার্টি নেতা হায়দার আলী। মুক্তারুল হক মুকু গত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীনের কাছে দেড় হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু এবারই প্রথম প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধানের সম্পর্কে ভাগিনা। আর দীর্ঘদিনের গ্রুপিং ও দ্বন্দ্বের জের ধরে ফরিদা আখতার হীরা এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তিনি সুজন গ্রুপের। আটোয়ারী উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত নির্বাচনেও আনিছুর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হয়েছিলেন। তৌহিদুল ইসলাম দ্বিতীয় ও বিএনপি প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান আবদার জয়লাভ করেন। তৌহিদুল এমপি মজাহারুল হক প্রধান গ্রুপের ও আনিছুর সুজন গ্রুপের। গতবারের ভোটের হিসাব যোগ করলে দেখা যায়, তৌহিদুল ও আনিছুরের ভোট বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে বেশি ছিল। বোদা উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি এখন একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাহার আলী ও পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক জাকির হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দেবীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত জামান চৌধুরী জর্জের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই দলের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চিশতী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য পরিমল দে সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মোখলেছুর রহমান শাহ এবং রবিউল আলম ও রেজাউল ইসলাম।
এখানে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল গনি বসুনিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাখখারুল আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এখানে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল গনি বসুনিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাখখারুল আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।