বাংলারজমিন
ফুলবাড়ীয়ায় যৌতুকের বলি অন্তঃসত্ত্বা শিমু
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ধামর ফালুর বাজার সংলগ্ন যৌতুকের বলি হয়েছে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা জান্নাতুল ফেরদাউস শিমু। সোমবার দিনগত রাতে স্বামী রাজমিস্ত্রি শামীম শারীরিক নির্যাতন করে শিমুকে হত্যা করেছে বলে মা রাবেয়া খাতুন দাবি করেছেন। একমাত্র মেয়ে হত্যার খবরে মা অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘাতক স্বামী শামীম ঘটনার পর থেকে পলাতক।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৮-৯ মাস আগে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া অবস্থায় প্রেম করে বিয়ে হয় শামীম ও শিমুর। বিয়ের পর থেকে স্বামী শিমুকে বাবার বাড়ি হতে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। গত কয়েক মাস আগে যৌতুক হিসেবে এলইডি টিভি ও গরু আনার জন্য আবারও চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু শিমু তাতে অসম্মতি জানালে তার ওপর চলে শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতনের কথা বাবা-মায়ের কাছে মুখ খুলে বলত না শিমু। কারণ, তারা এ বিয়েতে রাজি ছিল না। এদিকে অল্প বয়সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে শিমু। সে ধামর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। স্বামীর বড় ভাই রুবেল জানান, তাদের মধ্যে মাঝে-মধ্যেই ঝগড়া-বিবাদ হতো আবার পরক্ষণেই মিটে যেত। যৌতুক বা চাওয়ার-পাওয়ার বিষয়ে বাবা হুরমুজ আলী নিজেই ছেলে শামীমকে একটি এলইডি কিনে দেন। প্রতিবেশী আ. হালিম জানান, শেষ রাতে শিমুর পেট ব্যথা শুরু হলে সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মুনসুর আলীকে ডেকে আনা হয়। তিনি হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পল্লী চিকিৎসক মুনসুর আলী বলেন, আমি তাকে জীবিত পাইনি। তার পরও তারা হাসপাতালে নিতে চাইছে, আমি নেয়ার জন্য বলেছি। মেয়ের বাবা সিরাজুল ইসলাম ড্রাইভার বলেন, আমার মেয়েকে ওরা নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই। থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৮-৯ মাস আগে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া অবস্থায় প্রেম করে বিয়ে হয় শামীম ও শিমুর। বিয়ের পর থেকে স্বামী শিমুকে বাবার বাড়ি হতে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। গত কয়েক মাস আগে যৌতুক হিসেবে এলইডি টিভি ও গরু আনার জন্য আবারও চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু শিমু তাতে অসম্মতি জানালে তার ওপর চলে শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতনের কথা বাবা-মায়ের কাছে মুখ খুলে বলত না শিমু। কারণ, তারা এ বিয়েতে রাজি ছিল না। এদিকে অল্প বয়সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে শিমু। সে ধামর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। স্বামীর বড় ভাই রুবেল জানান, তাদের মধ্যে মাঝে-মধ্যেই ঝগড়া-বিবাদ হতো আবার পরক্ষণেই মিটে যেত। যৌতুক বা চাওয়ার-পাওয়ার বিষয়ে বাবা হুরমুজ আলী নিজেই ছেলে শামীমকে একটি এলইডি কিনে দেন। প্রতিবেশী আ. হালিম জানান, শেষ রাতে শিমুর পেট ব্যথা শুরু হলে সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মুনসুর আলীকে ডেকে আনা হয়। তিনি হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পল্লী চিকিৎসক মুনসুর আলী বলেন, আমি তাকে জীবিত পাইনি। তার পরও তারা হাসপাতালে নিতে চাইছে, আমি নেয়ার জন্য বলেছি। মেয়ের বাবা সিরাজুল ইসলাম ড্রাইভার বলেন, আমার মেয়েকে ওরা নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই। থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]