শেষের পাতা
ভোগান্তির পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে গতকালও আজিমপুর, ধানমণ্ডি, জিগাতলা, গ্রিন রোড, শংকর, শ্যামলী, মিরপুর, আসাদগেটসহ বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন ঘটায় চুলা জ্বলছে না। সকাল থেকেই এই পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেক পরিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে চুলা ধরাতে গিয়ে দেখেন গ্যাস নেই। ফলে সকালে নাশতা তৈরি করাও সম্ভব
হয়নি। অনেকে রেস্তরাঁ থেকে নাশতা এনে খেয়েছেন। কাউকে শুকনো খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। উপায় না পেয়ে কেউ কেউ সিলিন্ডার ও স্টোভ ধরিয়ে রান্না সেরেছেন। পেট্রোবাংলা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি দাবি করছে রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ বেলা ১১টার পর থেকেই স্বাভাবিক রয়েছে। দূরে গ্রাহকরা একটু দেরিতে গ্যাসের চাপ পাবেন।
আজিমপুরের বাসিন্দা রুবিনা আক্তার বলেন, সকাল ৭টায় ঘুম থেকে ওঠে চুলা জ্বালাতে গিয়ে দেখি চুলা জ্বলছে না। ফলে দোকান থেকে পাউরুটি, কলা এনে খেয়েছেন। গ্রিন রোড এলাকার গৃহিণী মাহমুদা বলেন, সকালে গ্যাসের চুলা ধরাতে গিয়ে দেখি গ্যাসের স্বাভাবিক চাপ নেই। মিটমিট করে যেভাবে জ্বলছে তাতে রান্না করার মতো অবস্থা নেই। ফলে শুকনো খাবার খেয়ে নাশতার কাজ সেরেছি। গত পরশু একই অবস্থা হয়েছিল। জিগাতলা বাসিন্দা পারভিন বলেন, গত দু’দিন ধরে প্রচণ্ড সমস্যায় আছি। সকালে নাশতা কিনে খেয়েছি। গ্যাস না থাকার কারণে পরোটা আনতে গিয়ে দেখি সেখানে লম্বা লাইন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ১০টি পরোটা পেয়েছি। সাড়ে ১০টার পরে যারা গেছেন তারা নাশতাই পাননি। মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের বাসিন্দা তুলি বেগম বলেন, গতকালও সকাল ৮টার দিকে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক ছিল না। গ্যাসের যে চাপ ছিল তাতে চুলা জ্বলছিল না। গ্যাস সরবরাহ কর্তৃপক্ষ বলেছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করবেন, কিন্তু গ্যাসের চাপে তা বলছে না। আহমেদ ফারুক নামের একজন গ্রাহক বলেন, শনিবার খবরে শুনেছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কিন্তু ৩০ ঘণ্টায়ও কোনো খবর হলো না। সাভারের আশুলিয়ায় পাইপ লাইনে ত্রুটির কারণে গত শুক্রবার থেকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছিল।
চরম দুর্ভোগে পড়া এসব এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) জানিয়েছিল ত্রুটি মেরামতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছিল জিটিসিএল কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন মানবজমিনকে বলেন, আমরা সর্বত্র চেষ্টা করে গতকাল সকাল ৮টা থেকেই গ্যাস সরবরাহ করছি। তবে যেসব এলাকা আশুলিয়ার কাছাকাছি সেসব এলাকার গ্রাহকরা একটু আগে গ্যাস পাচ্ছিলেন। আর যেসব গ্রাহক একটু দূরে রয়েছেন তারা আস্তে আস্তে গ্যাস পাবেন। গ্রাহককে একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন তিনি। এ ছাড়া তিতাস কিছু কিছু জায়গায় তাদের ভাল্ব খুলে দেয়ায় হয়তো বা সরবরাহে কিছুটা বিঘ্নি ঘটতে পারে। তবে তিনি দাবি করেন লাইন এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে। গ্যাসের চাপও বাড়ছে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, বেলা ১১টার পর থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে তিনি দাবি করেন।
হয়নি। অনেকে রেস্তরাঁ থেকে নাশতা এনে খেয়েছেন। কাউকে শুকনো খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। উপায় না পেয়ে কেউ কেউ সিলিন্ডার ও স্টোভ ধরিয়ে রান্না সেরেছেন। পেট্রোবাংলা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি দাবি করছে রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ বেলা ১১টার পর থেকেই স্বাভাবিক রয়েছে। দূরে গ্রাহকরা একটু দেরিতে গ্যাসের চাপ পাবেন।
আজিমপুরের বাসিন্দা রুবিনা আক্তার বলেন, সকাল ৭টায় ঘুম থেকে ওঠে চুলা জ্বালাতে গিয়ে দেখি চুলা জ্বলছে না। ফলে দোকান থেকে পাউরুটি, কলা এনে খেয়েছেন। গ্রিন রোড এলাকার গৃহিণী মাহমুদা বলেন, সকালে গ্যাসের চুলা ধরাতে গিয়ে দেখি গ্যাসের স্বাভাবিক চাপ নেই। মিটমিট করে যেভাবে জ্বলছে তাতে রান্না করার মতো অবস্থা নেই। ফলে শুকনো খাবার খেয়ে নাশতার কাজ সেরেছি। গত পরশু একই অবস্থা হয়েছিল। জিগাতলা বাসিন্দা পারভিন বলেন, গত দু’দিন ধরে প্রচণ্ড সমস্যায় আছি। সকালে নাশতা কিনে খেয়েছি। গ্যাস না থাকার কারণে পরোটা আনতে গিয়ে দেখি সেখানে লম্বা লাইন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ১০টি পরোটা পেয়েছি। সাড়ে ১০টার পরে যারা গেছেন তারা নাশতাই পাননি। মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের বাসিন্দা তুলি বেগম বলেন, গতকালও সকাল ৮টার দিকে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক ছিল না। গ্যাসের যে চাপ ছিল তাতে চুলা জ্বলছিল না। গ্যাস সরবরাহ কর্তৃপক্ষ বলেছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করবেন, কিন্তু গ্যাসের চাপে তা বলছে না। আহমেদ ফারুক নামের একজন গ্রাহক বলেন, শনিবার খবরে শুনেছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কিন্তু ৩০ ঘণ্টায়ও কোনো খবর হলো না। সাভারের আশুলিয়ায় পাইপ লাইনে ত্রুটির কারণে গত শুক্রবার থেকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছিল।
চরম দুর্ভোগে পড়া এসব এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) জানিয়েছিল ত্রুটি মেরামতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছিল জিটিসিএল কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন মানবজমিনকে বলেন, আমরা সর্বত্র চেষ্টা করে গতকাল সকাল ৮টা থেকেই গ্যাস সরবরাহ করছি। তবে যেসব এলাকা আশুলিয়ার কাছাকাছি সেসব এলাকার গ্রাহকরা একটু আগে গ্যাস পাচ্ছিলেন। আর যেসব গ্রাহক একটু দূরে রয়েছেন তারা আস্তে আস্তে গ্যাস পাবেন। গ্রাহককে একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন তিনি। এ ছাড়া তিতাস কিছু কিছু জায়গায় তাদের ভাল্ব খুলে দেয়ায় হয়তো বা সরবরাহে কিছুটা বিঘ্নি ঘটতে পারে। তবে তিনি দাবি করেন লাইন এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে। গ্যাসের চাপও বাড়ছে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, বেলা ১১টার পর থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে তিনি দাবি করেন।