বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে তরুণীর অবৈধ গর্ভপাত নবজাতককে হত্যার পর মাটিচাপা
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীতে এক তরুণীর অবৈধ গর্ভপাতের পর নবজাতককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বজলুর রহমান চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল ও বাড়ির লোকজন জানান, তাদের পাশের বাড়ির তরুণী রোকসানা (৩৫)’র অবৈধ গর্ভপাতে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়ার ফলে ওই তরুণী ও তার পরিবারের যোগসাজশে নবজাতককে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে নবজাতককে মাটি থেকে তিনবার তুলে তিনদফায় তিনস্থানে মাটিচাপা দেয়। পরে এলাকাবাসী অভিযুক্ত তরুণী ও এক যুবককে তার বাড়িতে আটক করে, চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের মনির চৌকিদার ও বায়তুল তাকওয়া জামে মসজিদের সভাপতি লিটন ব্যাপারীর জিম্মায় রাখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, কিন্তু মনির চৌকিদার ও লিটন ব্যাপারী এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র নাম ভাঙ্গিয়ে অভিযুক্ত তরুণীর পরিবারের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের আংটি উৎকোচ নিয়ে আটককৃত অভিযুক্ত তরুণী ও যুবককে ছেড়ে দেয় এবং পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। বর্তমানে তাদের কারণে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে সরজমিন চৌকিদারের বাড়িতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। তার পরিবারের কাছে চৌকিদারের মুঠোফোন নম্বর চাইলে তারা জানান, তিনি মুঠোফোন ব্যবহার করেন না। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি লিটন ব্যাপারীর বাড়ি থেকে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে অভিযুক্ত তরুণীর স্বর্ণের আংটি উৎকোচ হিসেবে গ্রহণের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মানবজমিনকে জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে চৌকিদার এবং মসজিদ কমিটির সভাপতির উৎকোচ গ্রহণ এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার বিষয়ে (ওসি) কিছু জানেন না বলে জানান।