দেশ বিদেশ
মাদক মামলায় যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার নিয়ে তুলকালাম
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
মাদক মামলায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয় অনুসারী নেতাকর্মীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই যুবলীগ নেতাসহ আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনার পর এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচএম মশিউদ্দৌলা রেজা। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওহিদ চৌধুরী তৌহিদকে একটি মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওহিদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইদ্রিসের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ওহিদকে আটকের খবর পেয়ে ইদ্রিসের অনুসারী ও কর্মী-সমর্থকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাজারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা ওহিদকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বারো আউলিয়া মাজার সংলগ্ন ইদ্রিসের মালিকানাধীন ফার্মেসিতে নিয়ে যান। এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ বারো আউলিয়া মাজারের আশপাশে অবস্থান নেয়। পুলিশ ইদ্রিসের দোকানে প্রবেশের চেষ্টা করলে কয়েকশ কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ করে তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। কর্মী-সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ দোকানে ঢুকে ইদ্রিসের সামনে থেকে ওহিদ এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক মো. শাহাবুদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে, তাদের নিয়ে যাবার সময় আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আবারো গুলিবর্ষণ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। এতে কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। মো. ইদ্রিস বলেন, সিভিল পোশাক পরিহিত দুজন পুলিশ এসে আমাদের যুবলীগ নেতা ওহিদকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। পুলিশ অতর্কিতে গুলি করে আমার দোকানে ঢুকে ওহিদ ও শাহাবুদ্দিনকে আটক করে নিয়ে গেছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচএম মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, মাদক মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। পরে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাকে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে।