বাংলারজমিন
যশোরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চলছে সিরিজ অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
যশোর শহরে শুরু হয়েছে অবৈধ স্থাপনায় সিরিজ উচ্ছেদ অভিযান। গত তিনদিনে শহরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবৈধ বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী কমিটি। এই কমিটিকে সহায়তা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে প্রশাসনের এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন যশোরের সর্বস্তরের মানুষ। বেশেষ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রধান সড়ক ও শহরের দড়াটানা মোড়ের বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে সাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন হবে বলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। তবে অনেকেই আবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমানে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে অতীতের মতো নতুন দখলদারদের কাছে ফের এসব ফাঁকা জায়গা যেন অবৈধ পন্থায় বরাদ্দ দেয়া না হয়। গত ৩ দিনে যশোরের প্রশাসন যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, দালাল বিতাড়িত ও যানজট মুক্ত করেছে। এছাড়া দড়াটানা মোড়ের সরকারি জমিতে গড়ে তোলা বিশাল একটি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে তদস্থলে একটি রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অপরদিকে যশোর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমিতে গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করে কোতোয়ালি পুলিশ। এসব অভিযানের ফলে গত তিন দিনে যশোরের বেশ কিছু সরকারি সম্পত্তি ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে যশোর শহরকে অবৈধ দখলদার মুক্ত ঘোষণা করে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। প্রথম দিনে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তিনটি গেটের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান চালায় পুলিশ। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের সামনে প্রাচীরের গা ঘেঁষে অবৈধভাবে দোকান গড়ে উঠেছে। এটি মাদকসেবীদের আড্ডায় পরিণত হয়। এসবের কারণে হাসপাতালের তিনটি গেটে যানজট লেগেই থাকে। এছাড়া দালালের উৎপাতও সীমাহীন। এসব কারণে পৃথক তিনটি মোবাইল টিম নিয়ে একযোগে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, দালাল বিতাড়িত ও যানজট মুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, হাসপাতালের সামনে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। দোকান তো থাকবেই না; সঙ্গে দালাল টাউট ও বাটপার হাসপাতালে সামনে অবস্থান করতে পারবে না।