পাকুন্দিয়ায় বেড়েছে গরু চুরি

 পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক হারে গরু চুরি বেড়ে গেছে। এনিয়ে থানা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জাঙালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার শামীম আহমেদ এনিয়ে অভিযোগ করেন। গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই জাঙালিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক হারে গরু চুরি চলে আসছে। মানুষ রাতে সজাগ থেকে পাহারা দিয়েও কোনোভাবেই চুরি ঠেকাতে পারছে না। এই এলাকায় কয়েক বছরে শতশত গরু চুরি হয়ে গেছে। এতে এলাকার মানুষ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি আরো বলেন, গত তিনদিন আগে একজন কাঠমিস্ত্রির ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু চুরি হয়েছে। এটি নিয়ে ওই পরিবারে কান্নার রোল পড়ে গেছে। হৃদয় বিদারক একটি ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমার কিছুই করার ছিল না। আমি আবারো আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে বলছি, আমার এলাকায় পুলিশের টহল বাড়াতে হবে। গরু চোরদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ের মাধ্যমে পুলিশের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সভায় পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। তিনি এর উত্তরে বলেন, আমি বিষয়টি স্যারকে অবহিত করবো। যাতে জাঙালিয়া এলাকায় পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয় এবং চোরদের খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. শামছুন্নাহার আপেল, পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন, মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, পাটুয়াভাঙা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, এগারসিন্দুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান সরকার, জাঙালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার শামীম আহমেদ, নারান্দী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, চরফরাদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন ও হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হামদুসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সংবাদকর্র্মীবৃন্দ।