খেলা
সুযোগ বাড়লো ভালভার্দে-সিমিওনির
স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
নিজ নিজ কোচের সঙ্গে নতুন চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারলো স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বার্সার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি নবায়নে সই করেন আরনেস্তো ভালভার্দে। এ ছাড়াও চুক্তির মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়। আর সিমিওনিকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিশ্চিত করে অ্যাটলেটিকো। লা লিগায় বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে খেলোয়াড়ী জীবনের সাবেক ক্লাব অ্যাটলেটিকোর কোচ হন সিমিওনি। তার অধীনে ৭টি শিরোপা জেতে অ্যাটলেটিকো। ১টি করে লা লিগা, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ২টি করে ইউয়েফা ইউরোপা লীগ ও ইউয়েফা সুপার কাপ। দু’বার ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয় অ্যাটলেটিকোর। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে দু’বারই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হার দেখে সিমিওনির দল। অ্যাটলেটিকোর ডাগআউটে ৪১২ ম্যাচে ২৫২টি জয়, ৯৩টি ড্র ও ৬৭ ম্যাচে হার দেখেন সিমিওনি। তিনবার লা লিগার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জেতেন সিমিওনি। এই মৌসুমে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে অ্যাটলেটিকো (২৩ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট)। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্ট ও রিয়ালের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। চলতি মৌসুম শেষেই বার্সেলোনার সঙ্গে ভালভার্দের আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতো। ২০১৭ সালের মে মাসে অ্যাথলেটিক বিলবাও ছেড়ে লুইস এনরিকের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। প্রথম মৌসুমে লা লিগা ও কোপা দেল রে শিরোপার স্বাদ পান এই স্প্যানিয়ার্ড কোচ। আর স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে ২০১৮-১৯ মৌসুম শুরু করে ভালভার্দের বার্সা। তার অধীনে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯৬ ম্যাচের মধ্যে ৬৫টিতে জয় কুড়ায় কাতালানরা। ড্র হয় ২২ ম্যাচ। আর হার মাত্র ৯ ম্যাচে। ৬৫ জয়ের ৪৩টি লা লিগায়, কোপা দেল রে’তে ১১টি, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ১০টি ও বাকি ১টি জয় আসে স্প্যানিশ সুপার কাপে। লা লিগায় ২০১৭-১৮ মৌসুমে বার্সেলোনাকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন ভালভার্দে। লীগের ৩৭তম রাউন্ডে লেভান্তের মাঠে ৫-৪ গোলে হেরে ইতিহাস গড়া হয়নি বার্সার। আর নিজেদের সবশেষ ম্যাচে বিলবাওয়ের মাঠে (গোলশূন্য ড্র) লীগে টানা ৩৭ ম্যাচে গোলের নৈপুণ্যের অবসান হয় কাতালানদের। বার্সার ডাগআউটে ৯৬ ম্যাচে ২৩৩টি গোল দেখেন ভালভার্দে। আর বার্সা গোল হজম করে ৭৮টি (৪৫টি ক্নিন শিট)। ৭৪ গোল নিয়ে শীর্ষ গোলদাতা লিওনেল মেসি। এরপর যথাক্রমে লুইস সুয়ারেজ (৪৭), ফিলিপ্পে কুটিনহো (১৮) ও উসমান দেম্বেলে (১৭)। অ্যাসিস্টেও সবার উপরে মেসি। সতীর্থদের দিয়ে ৩২টি গোল করান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তালিকার সেরা তিনে সুয়ারেজ (২৫) ও জর্ডি আলবা (২৩)। ভালভার্দের অধীনে সবচেয়ে বেশি সময় খেলেন সুয়ারেজ (৭০২৬ মিনিট)। পেছনে জেরার্ড পিকে (৭০২৪), মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন (৭০২০) ও ইভান রাকিটিচ (৬৯৮৬)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেন রাকিটিচ (৮৯ ম্যাচ)। মেসি ও সার্জিও বুসকেটস সমান ৮৩ ম্যাচ, সুয়ারেজ ৮২ ও পিকে নামেন ৮১ ম্যাচে।