দেশ বিদেশ

অর্থ আত্মসাৎ মামলা

দুই ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

স্টাফ রিপোর্টার

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

অ্যাকোমোডেশন বিল দাখিলের মাধ্যমে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি টাকা পাচারপূর্বক আত্মসাতের দায়ে মার্কেন্টাইল ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ছয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই তিন মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয় বলে  জানান  দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামস্থ মেসার্স আমানত স্টিল, এইচ স্টিল রিরোলিং মিলস ও রুবাইয়া ভেজিটেবলস অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্ণধার এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, মেসার্স রহমান স্টিল করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী তালুকদার আবদুর রহমান, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাদামবিবির হাট শাখার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং শাখা ব্যবস্থাপক মৃণাল পাল, প্রাক্তন ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং শাখা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) পরিতোষ কুমার ধর (বর্তমানে কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপক), স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার প্রাক্তন ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলাম (বর্তমানে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট), সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার মুহাম্মদ জহুরুল আলম, প্রাক্তন প্রবেশনারি অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল হাসান (বর্তমানে ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট)। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ২০১৭ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি মামলাটি হয়েছিল। মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ কালাম। অপর মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী। শিগগিরই আদালতে এসব মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের মার্কেন্টাইল ব্যাংক মাদামবিবির হাট শাখার গ্রাহক মেসার্স রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার গ্রাহক মেসার্স তালুকদার গ্রেডিং কোম্পানির মধ্যে লোকাল এলসির মাধ্যমে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে ‘অ্যাকোমোডেশন বিল’ দাখিলের মাধ্যমে এলসির শর্ত লঙ্ঘন করে পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার উৎস গোপন রেখে লেনদেন করে হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে, মার্কেন্টাইল ব্যাংক মাদামবিবির হাট শাখার গ্রাহক মেসার্স এইচ স্টিল রি-রোলিং মিল এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার গ্রাহক মেসার্স রহমান স্টিল করপোরেশন ও তালুকদার গ্রেডিং কোম্পানির মধ্যে দুটি লোকাল এলসির মাধ্যমে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে ‘অ্যাকোমোডেশন বিল’ দাখিলের মাধ্যমে এলসির শর্ত লঙ্ঘন করে পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ১০ কোটি ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা উৎস গোপন রেখে লেনদেন করে হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
লোকাল এলসির বিপরীতে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি (ক্রয়-বিক্রয়) না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি ও ব্যবহার করে পেমেন্ট অ্যাগেইনস্ট ডকুমেন্ট বা পিএডি হিসাব ডেবিট করে এজাহারভুক্ত আসামি হারুন অর রশিদের অনুকূলে ব্যাংক অবৈধভাবে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা প্রদানের আগে বিক্রেতার হিসাবে পাঠানো এবং বিক্রেতার হিসাব থেকে ওই অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দুদকের তদন্তে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status