বিশ্বজমিন
পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করবে আফগান তালেবানরা
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৩:২৪ পূর্বাহ্ন
চলমান আফগান শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে বসবে আফগানিস্তানের তালেবানরা। আগামী সপ্তাহে এ আলোচনা হবে পাকিস্তানে। এ সময়ে তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সহ আরো কিছু পাকিস্তানি ও মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করবে। এমন ঘোষণা দিয়েছে তালেবানরা। তবে ওয়াশিংটন বা ইসলামাবাদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তালেবানদের এমন ঘোষণার বিষয়ে নিশ্চিয়তা পাওয়া যায় নি। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে আরেকটি শান্তি আলোচনা হতে যাচ্ছে। এতে মধ্যস্থতা করবেন এমিরেটের কর্মকর্তাদের একটি টিম ও যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি এ বৈঠক হতে যাচ্ছে ইসলামাবাদে। এ সময়ে তালেবান প্রতিনিধিরা সাক্ষাত করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও। তালেবানদের নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে এর পরের বৈঠক হবে ২৫ শে ফেব্রুয়ারি কাতারে। ওই বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনায় তালেবানরা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক পরিসরে কথা বলবে। কথা বলবে আফগান শরণার্থী ও ব্যবসায়ীদের বিষয়ে।
এ বিষয়ে সরকারি পর্যায় থেকে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া না হলেও পাকিস্তানে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছেন, তালেবান প্রতিনিধিরা পাকিস্তান সফর করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন। আফগানিস্তানে ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রক্তক্ষীয় যুদ্ধের ইতি টানার বিষয়েও তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করবে।
উল্লেখ্য, তালেবানরা আফগানিস্তানের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আগ্রাসন চালানোর পর যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন তারা অধিক শক্তিশালী। গত মাসে কাতারের দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আফগানিস্তান রিকনসিলিয়েশন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ। এরপর তিনি বলেছেন, দোহার ওই সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে উল্লেখযোগ অগ্রগতি সাধন করেছে। খলিলজাদকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেপ্টেম্বরে। তারপর থেকে তিনি এই যুদ্ধ শেষ করার উপায় নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ বছরেরও বেশি সময়ের এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র হারিয়েছে ২৪ শতাধিক সেনাকে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য অর্ধেক কমিয়ে আনতে চান। অন্যদিকে শান্তি সংলাপে মূল যেসব শর্ত দিয়েছে তালেবানরা তার অন্যতম পুরোপুরিভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে আরেকটি শান্তি আলোচনা হতে যাচ্ছে। এতে মধ্যস্থতা করবেন এমিরেটের কর্মকর্তাদের একটি টিম ও যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি এ বৈঠক হতে যাচ্ছে ইসলামাবাদে। এ সময়ে তালেবান প্রতিনিধিরা সাক্ষাত করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও। তালেবানদের নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে এর পরের বৈঠক হবে ২৫ শে ফেব্রুয়ারি কাতারে। ওই বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনায় তালেবানরা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক পরিসরে কথা বলবে। কথা বলবে আফগান শরণার্থী ও ব্যবসায়ীদের বিষয়ে।
এ বিষয়ে সরকারি পর্যায় থেকে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া না হলেও পাকিস্তানে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছেন, তালেবান প্রতিনিধিরা পাকিস্তান সফর করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন। আফগানিস্তানে ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রক্তক্ষীয় যুদ্ধের ইতি টানার বিষয়েও তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করবে।
উল্লেখ্য, তালেবানরা আফগানিস্তানের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আগ্রাসন চালানোর পর যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন তারা অধিক শক্তিশালী। গত মাসে কাতারের দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আফগানিস্তান রিকনসিলিয়েশন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ। এরপর তিনি বলেছেন, দোহার ওই সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে উল্লেখযোগ অগ্রগতি সাধন করেছে। খলিলজাদকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেপ্টেম্বরে। তারপর থেকে তিনি এই যুদ্ধ শেষ করার উপায় নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ বছরেরও বেশি সময়ের এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র হারিয়েছে ২৪ শতাধিক সেনাকে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য অর্ধেক কমিয়ে আনতে চান। অন্যদিকে শান্তি সংলাপে মূল যেসব শর্ত দিয়েছে তালেবানরা তার অন্যতম পুরোপুরিভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার।