ষোলো আনা

প্রেমে পড়ার নেপথ্যে

ডা. মো. সাব্বির আহমেদ

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

হঠাৎ সামনে দিয়ে একজন সুন্দরী রমনী হেটে চলে গেল, তার শুভ্রতা, তার সৌন্দর্য আপনার হৃদয়ে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করল কিংবা ধরুণ লম্বা, সুদর্শন কোনো ছেলেকে দেখে একটি মেয়ে নিজের মাঝেই এক ধরনের শিহরণ অনুভব করে!

কিন্তু কেন এমন হয়? কেনই বা বিপরীত লিঙ্গের একজনের প্রতি এ ধরনের আকর্ষণ অনুভব করি আমরা? অন্যভাবে বললে আমরা কেন প্রেমে পড়ি?

অনেকেই এজন্য মনকে দায়ী করেন, অনেকে বলেন মনের অজান্তেই প্রেমে পড়ে গিয়েছেন।

কিন্তু মেডিকেল সায়েন্স এই ব্যাপারটার পেছনে মূলত ৩টি হরমোনের কথাই বলছে। সেগুলো হল টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন আর প্রজেস্টেরন।

টেস্টোস্টেরন মূলত ছেলেদের শরীরে বেশি থাকে, এটি ছেলেদের পুরুষত্বের জন্য দায়ী যা শুক্রাশয়ের লেডিগ কোষ (Leydig Cell) থেকে উৎপন্ন হয়।

২০০২ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায়, একজন মহিলার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের পরে পুরুষের মাঝে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ে। পুরুষেরা নারীদের মুগ্ধ (Impress) করার চেষ্টা করেছিল- এই বর্ধন এই রূপে সম্পর্কিত ছিল।

মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন নামক দুটি হরমোন বেশি পরিমাণে থাকে। ডিম্বাশয় থেকেই মূলত এই দুটি হরমোন তৈরি হয়। ইস্ট্রোজেন নামটি গ্রিক শব্দ 'Oistros' থেকে এসেছে যার অর্থ ‘যৌন আকাঙ্ক্ষা’।

বয়সন্ধিকালে উপরোক্ত ৩টি হরমোন বৃদ্ধি পায়, যার দরুন পিউবার্টি বা বয়ঃসন্ধির সময়টাতেই কিশোর-কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি প্রেমে পড়ে। এবং অল্প বয়স, বাস্তবিক জ্ঞান এবং জীবন সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় এই বয়সের প্রেমগুলোর সফল পরিণতি ঘটে না। ঠিক একই কারণে ভুল করে ফেলে আদরের সন্তান। তাই অভিভাবকদের উচিত সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালে আরও বেশি যত্নবান হওয়া।

প্রেম নিয়ে নিয়ে নানা মনিষী নানা কথা বলেছেন। তবে মেডিকেল সায়েন্সর অনেকেই মনে করেন প্রেম বলে আসলে কিছু নেই! সবই ‘ইস্ট্রোজেন আর টেস্টোস্টেরনের খেলা’।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status