খেলা
বিগ বাংলা রান-এর প্রতারণা!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
বেশ ঘটা করেই ঢাকায় আন্তর্জাতিক মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করে উদ্যোক্তা সংগঠন ‘বিগ বাংলা রান’। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই আয়োজন চলে তিন/চার বছর। এ সময়ে অনুষ্ঠিত সকল প্রতিযোগিতায় বিদেশি বিজয়ীরা অর্থ পুরস্কার পেলেও বঞ্চিত হয়েছেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। মিরোনা, আবু সালাম, সুমি, পাপিয়ারা দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। তাদের কাছে ধরা দিচ্ছেন না বিগ বাংলা রানের চেয়ার আবেদুর রহমান শিমুও।
২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আন্তর্জাতিক মিনি ম্যারাথন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিগ বাংলা রানের চেয়ারম্যান আবেদুর রহমান শিমু। তিনি হাজার হাজার ডলার পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। চিত্রনায়ক ও নায়িকাদের নিয়ে ম্যারাথন শুরু করেন। কিন্তু বিদেশি অ্যাথলেটরা অর্থ পুরস্কার পেলেও দেশিদের সঙ্গে শুরু করেন নানা ছলচাতুরি। বছরের পর বছর এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন শিমু। অর্থ পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের নৌবাহিনীর অ্যাথলেট মিরোনা। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে ঢাকায় শুরু হয় মিনি ম্যারাথন। বেশ ক’বার অংশ নিয়েছি। কিন্তু পুরস্কারের অর্থ পেয়েছি মাত্র দু’বার। ২০১৬ সালে তৃতীয় হয়েছিলাম। ৩০০ মার্কিন ডলার জিতেছিলাম। কিন্তু আজও টাকা পাইনি। যদিও ২০১৬ সালের অর্থ পুরস্কারের চেক গত বছরের ১১ই নভেম্বর দেয়, আর বলে দেন, এবারের দ্বিতীয় স্থানের জন্য ৫০০ ডলারের চেক এক মাস পর দেয়া হবে। কিন্তু উত্তরার ৬ নং সেক্টরে গিয়ে দেখি তাদের অফিস তালা মারা। তারা অফিসও পরিবর্তন করে ফেলেছে। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।’ একই বঞ্চনার শিকার সেনাবাহিনীর আবু সালাম, সুমি আক্তার, পাপিয়া আক্তার ও আনোয়ারুল ইসলামও। ল্যান্স কর্পোরাল আবু সালাম বলেন, ‘২০১৬ সালে প্রথম হয়ে পাঁচশ’ মার্কিন ডলার জিতেছিলাম। ওই বছর বিদেশিরা টাকা পেয়ে চলেও গেছে। কিন্তু আজ, কাল করে দু’বছর পার হয়ে গেছে। আমাকে দেয়া ব্লাংক চেক আজও ক্যাশ হয়নি। ব্যাংকে গিয়ে দেখি তাদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।’ এভাবেই নাকি প্রত্যেক বছর দেশে এসে পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ঘটা করে মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করে বিগ বাংলা রান। কিন্তু দেশী ক্রীড়াবিদদের অর্থ তারা পরিশোধ করে না। আবু সালাম বলেন, ‘এরা প্রতারক চক্র। প্রত্যেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লন্ডন থেকে শিমু জানান, ‘আবু সালামের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে আবু সালাম বলেন, ‘শিমু বলেছেন, ৫ই মার্চ ঢাকায় এসে আমার সঙ্গে বসবেন ৭ই মার্চ। এতটুকুই।
২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আন্তর্জাতিক মিনি ম্যারাথন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিগ বাংলা রানের চেয়ারম্যান আবেদুর রহমান শিমু। তিনি হাজার হাজার ডলার পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। চিত্রনায়ক ও নায়িকাদের নিয়ে ম্যারাথন শুরু করেন। কিন্তু বিদেশি অ্যাথলেটরা অর্থ পুরস্কার পেলেও দেশিদের সঙ্গে শুরু করেন নানা ছলচাতুরি। বছরের পর বছর এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন শিমু। অর্থ পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের নৌবাহিনীর অ্যাথলেট মিরোনা। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে ঢাকায় শুরু হয় মিনি ম্যারাথন। বেশ ক’বার অংশ নিয়েছি। কিন্তু পুরস্কারের অর্থ পেয়েছি মাত্র দু’বার। ২০১৬ সালে তৃতীয় হয়েছিলাম। ৩০০ মার্কিন ডলার জিতেছিলাম। কিন্তু আজও টাকা পাইনি। যদিও ২০১৬ সালের অর্থ পুরস্কারের চেক গত বছরের ১১ই নভেম্বর দেয়, আর বলে দেন, এবারের দ্বিতীয় স্থানের জন্য ৫০০ ডলারের চেক এক মাস পর দেয়া হবে। কিন্তু উত্তরার ৬ নং সেক্টরে গিয়ে দেখি তাদের অফিস তালা মারা। তারা অফিসও পরিবর্তন করে ফেলেছে। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।’ একই বঞ্চনার শিকার সেনাবাহিনীর আবু সালাম, সুমি আক্তার, পাপিয়া আক্তার ও আনোয়ারুল ইসলামও। ল্যান্স কর্পোরাল আবু সালাম বলেন, ‘২০১৬ সালে প্রথম হয়ে পাঁচশ’ মার্কিন ডলার জিতেছিলাম। ওই বছর বিদেশিরা টাকা পেয়ে চলেও গেছে। কিন্তু আজ, কাল করে দু’বছর পার হয়ে গেছে। আমাকে দেয়া ব্লাংক চেক আজও ক্যাশ হয়নি। ব্যাংকে গিয়ে দেখি তাদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।’ এভাবেই নাকি প্রত্যেক বছর দেশে এসে পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ঘটা করে মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করে বিগ বাংলা রান। কিন্তু দেশী ক্রীড়াবিদদের অর্থ তারা পরিশোধ করে না। আবু সালাম বলেন, ‘এরা প্রতারক চক্র। প্রত্যেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লন্ডন থেকে শিমু জানান, ‘আবু সালামের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে আবু সালাম বলেন, ‘শিমু বলেছেন, ৫ই মার্চ ঢাকায় এসে আমার সঙ্গে বসবেন ৭ই মার্চ। এতটুকুই।