জাতীয় নির্বাচনের মতো যেন না হয় ডাকসু নির্বাচন

ডাকসু নির্বাচন যেন জাতীয় নির্বাচনের মতো না হয়- সরকারের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদেরই নিয়োজিত ও অনুগত প্রশাসন। সারা দেশে বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হচ্ছে না, নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারেন না। ছাত্ররাও দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে যেতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষ এখনো সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশও তৈরি করতে পারেনি। নির্বাচনে অংশ নিতে সবার সমান সুযোগ এখনো নিশ্চিত হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে। ফলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে  দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমরা বলেছি, ডাকসু যাতে জাতীয় ও স্থায়ী সরকার নির্বাচনের মতো না হয়। গতকাল পেশাজীবী সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ডাকসুতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির পথে সরকার বাধা হবে না, যদিও এখন পর্যন্ত সহাবস্থান নিশ্চিত হয়নি। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির পথে তারা বাধা হবে না। আমরা তাদের কথায় আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাইবো, আমাদের ছাত্রসমাজ বা ছোট হোক বড় হোক সংগঠনগুলো যেগুলো আছে সবাই যেন তাদের মত প্রকাশে নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। তাদের প্রতিনিধিদের তারা ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত করতে পারে। ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি পূরণ না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচন গণতন্ত্রের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তির লড়াই। আমরা আশা করবো- যে ছাত্রসমাজ আমাদের যুগে যুগে পথ দেখিয়েছে, সাহসী ভূমিকা দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা করেছে, সেই ছাত্রসমাজ তাদের প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ ডাকসুতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারকে বাধ্য করবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- যারা গণতন্ত্র চায় আর যারা গণতন্ত্র চায় না, যারা গণতন্ত্র জবাই করে আর যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে- এই লড়াইটা হবে মূলত তাদের মধ্যে। আমরা আশা করছি, এ লড়াইয়ে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হবে। এর আগে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ড্যাবের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের নেতৃত্বে সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেই সঙ্গে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একেএম আজিজুল হক, আবদুল কুদ্দুস, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব ডা. মো. ওবায়দুল কবির খান, কোষাধ্যক্ষ একেএম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মাসুম, সদস্য রফিকুল কবির লাবু, আবদুস সালাম, মোস্তাক রহিম স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, কৃষকদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।