বাংলারজমিন
৪৮ বছরেও বরাইদ ঘাটে নির্মাণ হয়নি ব্রিজ
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ঘাটে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও ব্রিজ তৈরি হয়নি। এতে শত শত শিক্ষার্থীসহ ১৩টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। একবার খেয়ায় উঠতে ব্যর্থ হলে ১৫-২০ মিনিট সময় নষ্ট হচ্ছে। সন্ধ্যার পরেই বন্ধ হয়ে যায় এ খেয়া ঘাটে। রাতে এ ১৩টি গ্রামের মানুষের নদী সাঁতরে পার হতে হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বরাইদ ঘাটটি সাটুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বরাইদ ইউনিয়নে অবস্থিত। এ ঘাটটি সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ও তিল্লী ইউনিয়নে মাঝখানে। ধলেশ্বরী নদীর এ ঘাট পার হলেই তিল্লী ইউনিয়ন। এ ঘাট ঘেঁষেই বরাইদ ইউনিয়নের সাভার হাট, ফয়জুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়, বরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এ দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীদের সারা বছরই বরাইদ ঘাট পার হতে হয়। একটি খেয়ায় উঠতে ব্যর্থ হলেই ১৫-২০ মিনিট পর পরের খেয়ায় উঠতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগে।
এ খেয়া ঘাট পার হওয়ার সময় সাহেরা বেগম (৬০) বলেন, আমার বড় হবার পর থেকেই এ ঘাট দিয়ে পার হচ্ছি। এখন পর্যন্ত এ ঘাটে ব্রীজ হল না।
বরইদ ইউনিয়নের পশ্চিম শিমুলিয়া গ্রামের আরমান আলী বলেন, এ ঘাট দিয়ে বরাইদ, ছনকা, ঘুনা, আগ-সভার, সাভার, হামজা, নাগরপুর উপজেলাার বাড়িগ্রাম, বেলতুইল, পাকুটিয়া, হাটাইল, বনগ্রামের গ্রামের প্রতি দিন পার হতে হয়। তাছাড়া টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি উপজেলার মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করলে এ ঘাট পার হয়ে সাটুরিয়া হয়ে গাবতলী যায়।
বরাইদ গ্রামের সোনা মিয়া বলেন, রাত ৮টার পরে এ ঘাটে আসলে মাঝি পাওয়া যায় না, অনেক ডাকাডাকি করে মাঝি না পাওয়া গেলে সাঁতার কেটে ঘাট পার হতে হয়।
বরাইদ গ্রামের মাহবুব বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে গেলে ঘাটে পৌঁছানোর আগেই হরণ দিতে হয়। একটা খেয়ায় উঠতে দেরি হলেই ১৫-২০ মিনিট পর খেয়ায় উঠতে হয়। ফয়জনেন্নছা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাসেল বলেন, খেয়ায় উঠতে ফেল করলেই আমাদের ক্লাসে যেতে দেরি হয়।
এ ব্যাপারে বরাইদ ইউনিয়নের চেয়রম্যান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আমার ইউনিয়নের বরাইদ ও রাজর ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পল্লী উন্নয়ন সেতু নির্মাণ প্রকল্পে আবেদন করা আছে। পর্যায়ক্রমে দুটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আইয়ুব আলী বলেন, সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এবাদুর রহমান ইতিমধ্যে এ ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। বর্তমানে এটির সার্ভে চলছে। প্রকল্পটি পাস হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বরাইদ ঘাটটি সাটুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বরাইদ ইউনিয়নে অবস্থিত। এ ঘাটটি সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ও তিল্লী ইউনিয়নে মাঝখানে। ধলেশ্বরী নদীর এ ঘাট পার হলেই তিল্লী ইউনিয়ন। এ ঘাট ঘেঁষেই বরাইদ ইউনিয়নের সাভার হাট, ফয়জুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়, বরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এ দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীদের সারা বছরই বরাইদ ঘাট পার হতে হয়। একটি খেয়ায় উঠতে ব্যর্থ হলেই ১৫-২০ মিনিট পর পরের খেয়ায় উঠতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগে।
এ খেয়া ঘাট পার হওয়ার সময় সাহেরা বেগম (৬০) বলেন, আমার বড় হবার পর থেকেই এ ঘাট দিয়ে পার হচ্ছি। এখন পর্যন্ত এ ঘাটে ব্রীজ হল না।
বরইদ ইউনিয়নের পশ্চিম শিমুলিয়া গ্রামের আরমান আলী বলেন, এ ঘাট দিয়ে বরাইদ, ছনকা, ঘুনা, আগ-সভার, সাভার, হামজা, নাগরপুর উপজেলাার বাড়িগ্রাম, বেলতুইল, পাকুটিয়া, হাটাইল, বনগ্রামের গ্রামের প্রতি দিন পার হতে হয়। তাছাড়া টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি উপজেলার মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করলে এ ঘাট পার হয়ে সাটুরিয়া হয়ে গাবতলী যায়।
বরাইদ গ্রামের সোনা মিয়া বলেন, রাত ৮টার পরে এ ঘাটে আসলে মাঝি পাওয়া যায় না, অনেক ডাকাডাকি করে মাঝি না পাওয়া গেলে সাঁতার কেটে ঘাট পার হতে হয়।
বরাইদ গ্রামের মাহবুব বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে গেলে ঘাটে পৌঁছানোর আগেই হরণ দিতে হয়। একটা খেয়ায় উঠতে দেরি হলেই ১৫-২০ মিনিট পর খেয়ায় উঠতে হয়। ফয়জনেন্নছা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাসেল বলেন, খেয়ায় উঠতে ফেল করলেই আমাদের ক্লাসে যেতে দেরি হয়।
এ ব্যাপারে বরাইদ ইউনিয়নের চেয়রম্যান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আমার ইউনিয়নের বরাইদ ও রাজর ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পল্লী উন্নয়ন সেতু নির্মাণ প্রকল্পে আবেদন করা আছে। পর্যায়ক্রমে দুটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আইয়ুব আলী বলেন, সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এবাদুর রহমান ইতিমধ্যে এ ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। বর্তমানে এটির সার্ভে চলছে। প্রকল্পটি পাস হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।