বাংলারজমিন
কিশোরগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১৪ জন কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে পুলিশের দায়ের করা মামলায় করিমগঞ্জ-তাড়াইল আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানী কমান্ডার কবির উদ্দিন আহমেদ, তাঁর চার পুত্র, চার ভাতিজা ও দুই গৃহকর্মীসহ মোট ১৪ জনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল-মামুন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষে সোমবার আদালতে আত্মসমর্পন করে সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানী কমান্ডার কবির উদ্দিন আহমেদসহ ১৪ আসামি জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাদের কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে পাঠানো ১৪ জন হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানী কমান্ডার কবির উদ্দিন আহমেদ, তার চার পুত্র করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক মাশরুর আহমেদ রুমন, মোসাব্বির হোসেন সাদ্দাম ও শাকিল আহমেদ নাদভী, তার চার ভাতিজা নিয়ামতপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মেসবাহ উদ্দিন সায়েল, শাহীন, লিমন ও টিপু সুলতান, প্রতিবেশী এরশাদ, বাবলু ও ইয়াছিন এবং দুই গৃহকর্মী কাজল ও আমেনা খাতুন। মামলায় বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ২৯শে ডিসেম্বর রাতে পুলিশ সাবেক এমপি কবির উদ্দিন আহমেদের ছেলে মোসাব্বির হোসেন সাদ্দামকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় পুলিশ সাদ্দামকে আটক করলে আসামিরা পুলিশকে ঘেরাও ও মারপিট করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় করিমগঞ্জ সার্কেলের পুলিশ পরিদর্শক খোন্দকার শওকত জাহান বাদী হয়ে সাবেক এমপি কবির উদ্দিন আহমেদসহ মোট ১৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। তবে পারিবারিক সূত্রের দাবি, পুরোটাই সাজানো মামলা। মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময়ে পুলিশ বাড়িতে হানা দিয়ে সাবেক এমপি কবির উদ্দিন আহমেদ সহ কাউকে না পেয়ে কাল্পনিক হামলার ঘটনা সাজিয়ে এই গায়েবি মামলাটি দায়ের করে। এছাড়া সাবেক এমপি কবির উদ্দিন আহমেদ স্ট্রোকের রোগি।