ভারত
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে একজোট ভারতের ৩ মুখ্যমন্ত্রী ও ১০ দল
কলকাতা প্রতিনিধি
৩০ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে ক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। বিলের বিরুদ্ধে দশটি আঞ্চলিক দল একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদের অধিকাংশই বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ-এর জোট শরিক। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত মেঘালয় ও মিজোরামের পর নাগল্যান্ডও এই বিলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে। তিনটি রাজ্যই বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে একটি বৈঠকে এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ১০ টি রাজনৈতিক দলের নেতারা এক বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে ‘সাম্প্রদায়িক বিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির নেতৃত্বে যে কংগ্রেস বিরোধী জোট তৈরি করা হয়েছিল, সেই জোটের আটটি দলই হাজির ছিল এই সম্মেলনে। আর প্রতিটি দলই এই সম্মেলনে ‘নাগরিকত্ব বিল’-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিহারের জনতা দল (ইউনাইটেড)-ও এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই বিলের প্রতিবাদ করে এর আগেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে অসম গণপরিষদ। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে আমরা একজোট। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই বিল বাতিল করতে দাবি জানাবো আমরা। কংগ্রেসও আসাম বিধানসভায় এই বিলের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিজেপির আসাম কমিটিই একমাত্র বিলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই ইস্যুতে প্রথম টুইট করে বলেছেন, আসামের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা হবে।
বিজেপি নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী যারা নাগরিকত্ব পাবেন তাদের ভারতের যে কোনও রাজ্যে পুনর্বাসনের কথাও ভাবছে বলে জানা গেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি লোকসভায় পাশ হলেও এখনও রাজ্যসভায় পাশ হয়নি। এই বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে যে অমুসলিম মানুষেরা ভারতে এসেছেন, সেই সব শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির নেতৃত্বে যে কংগ্রেস বিরোধী জোট তৈরি করা হয়েছিল, সেই জোটের আটটি দলই হাজির ছিল এই সম্মেলনে। আর প্রতিটি দলই এই সম্মেলনে ‘নাগরিকত্ব বিল’-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিহারের জনতা দল (ইউনাইটেড)-ও এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই বিলের প্রতিবাদ করে এর আগেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে অসম গণপরিষদ। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে আমরা একজোট। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই বিল বাতিল করতে দাবি জানাবো আমরা। কংগ্রেসও আসাম বিধানসভায় এই বিলের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিজেপির আসাম কমিটিই একমাত্র বিলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই ইস্যুতে প্রথম টুইট করে বলেছেন, আসামের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা হবে।
বিজেপি নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী যারা নাগরিকত্ব পাবেন তাদের ভারতের যে কোনও রাজ্যে পুনর্বাসনের কথাও ভাবছে বলে জানা গেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি লোকসভায় পাশ হলেও এখনও রাজ্যসভায় পাশ হয়নি। এই বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে যে অমুসলিম মানুষেরা ভারতে এসেছেন, সেই সব শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।