দেশ বিদেশ
জেল থেকে মুক্তি পেলেন জাকার্তার সেই গভর্নর
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
ভাল আচরণের কারণে জেলের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই মুক্তি পেয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার সাবেক গভর্নর বাসুকি তাহাজা পুরনামা। তিনি অশোক হিসেবেও পরিচিত। ইসলাম অবমাননার অভিযোগে ২০১৭ সালে তাকে অভিযুক্ত করে দুই বছরের জেল দেয়া হয়। তিনি নিজে একজন খ্রিস্টান। ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে ওই সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়ায় ক্ষোভের আগুন ঝরে। তাকে গ্রেপ্তার করে সাজা দেয়া হয়। কিন্তু কারাগারে ভালো আচরণ করার কারণে ২০ মাস জেল ভোগ করার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। জাকার্তায় তিনিই ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম একজন অমুসলিম গভর্নর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বৃহস্পতিবার তিনি জেল থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এলে সমর্থকরা তাকে সাদরে গ্রহণ করেন। তারা নেচে গেয়ে তাকে বরণ করেন। হেনি নামে একজন সমর্থক বলেন, আমার হৃদয় সাড়া দিয়েছে তাই আমি জেলগেটে এসেছি। তিনি মুক্ত হয়েছেন, এতে আমি অতিমাত্রায় আনন্দিত।
মনে হচ্ছে আমার সবার ওপর থেকে ভার সরে গেল। ওদিকে তার মুক্তির খবরে অনেককে কাঁদতেও দেখা গেছে। বাসুকি তাহাজা পুরনামার বড় ছেলে ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। তাতে রয়েছেন পিতা-পুত্র। এতে তিনি লিখেছেন, তিনি ফিরেছেন। তিনি মুক্ত। সবাইকে সমর্থন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বাসুকি তাহাজা পুরনামা বা অশোক। এ জন্য তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। তিনি বলেছিলেন, অমুসলিম নেতাকে যেন ভোট না দেন মুসলিম ভোটাররা এ জন্য মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের কিছু অংশ ব্যবহার করছেন ইসলামপন্থি নেতারা। তার ওই ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুসলিমরা।
মনে হচ্ছে আমার সবার ওপর থেকে ভার সরে গেল। ওদিকে তার মুক্তির খবরে অনেককে কাঁদতেও দেখা গেছে। বাসুকি তাহাজা পুরনামার বড় ছেলে ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। তাতে রয়েছেন পিতা-পুত্র। এতে তিনি লিখেছেন, তিনি ফিরেছেন। তিনি মুক্ত। সবাইকে সমর্থন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বাসুকি তাহাজা পুরনামা বা অশোক। এ জন্য তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। তিনি বলেছিলেন, অমুসলিম নেতাকে যেন ভোট না দেন মুসলিম ভোটাররা এ জন্য মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের কিছু অংশ ব্যবহার করছেন ইসলামপন্থি নেতারা। তার ওই ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুসলিমরা।