খেলা

শীর্ষে মুশফিকুর রহীমের ভাইকিংস

স্পোর্টস রিপোর্টার

২৪ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

উড়ন্ত ফর্মের রাজশাহী কিংসকেও থামিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে মুশফিকুর রহীমের চিটাগাং ভাইকিংস। ৭ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা ডায়নামসাইটসকে পেছনে ফেলেছে ভাইকিংস। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে চলতি আসরে তাদের ষষ্ঠ জয় আসে ৬ উইকেটে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে কিংসকে জয় এনে দিয়েছেন লরি ইভান্স। গতকাল খেললেন দায়িত্বশীল ইনিংস। বাজে সময় থেকে তিনি ফিরে দলকে উপহার দিচ্ছেন সু-সময়। তবে সৌম্য সরকারের দিকে সময় যেন মুখ ফিরেই তাকাচ্ছে না। দলীয় ৫ ও নিজের তিন রানের মধ্যে আউট হয়ে ফিরেছেন দুই ম্যাচ পরে দলে সুযোগ পাওয়া দেশের এই তরুণ তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু তার সঙ্গে ওপেন করতে এসে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৭৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ইভান্স। শেষদিকে ২০ বলে ৩৬ রানের ঝড় তোলেন ইয়োঙ্কার। শেষ পর্যন্ত হাতে পাঁচ উইকেট রেখেই ১৫৭ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। জবাব দিতে নেমে চিটাগাং শুরুতে হোঁচট খেলেও অধিনায়কের ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুশফিক। দু’জনই মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। ৬৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ভাইকিংস অধিনায়ক।
গতকাল ১ রানে ডেলপোর্ট ও ৩ রান করে আউট হন ইয়াসির শাহ দলীয় ১৭ রানে। ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ আউট হন ২৫ রান করে। এতে ৪.৫তম ওভার শেষে ভাইকিংসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০/৩এ। পরে আফগান ব্যাটসম্যান নজিবুল্লাহ জাদরানকে ২৩ রানে সাজঘরের পথ দেখান আরাফাত সানি। এরপর অধিনায়ককে সঙ্গ  দেন ফর্ম হারিয়ে রানে ফেরার যুদ্ধে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দু’জন মিলে গড়েন ৫৩ বলে ৮৮ রানের জুটি। ৭১ রানে ৪ উইকেট হারানো দলের ধাক্কা সামলে মুশফিক প্রমাণ করেন তার পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভুল হয়নি। চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটিও তুলে নিয়েছেন দেশের সেরা ব্যাটিং ভরসা। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৬ চার ও ২টি ছয়ের মারে করেছেন ৬৪ রান। অন্যদিকে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ২৬ বলে মোসাদ্দেক খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস।
এর আগে টসে জিতে রাজশাহী কিংসকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুশফিক। দুই ম্যাচ পরে দলে ফেরা সৌম্যের জন্য সুযোগ ছিল রানে ফেরার। কিন্তু বাজে এক শটে মাত্র ৩ রানের মধ্যেই আউট হন তিনি। খেলেন ৬ বল। এরপর মাত্র ১ রানেই ফিরে যান অভিজ্ঞ মার্শাল আইযুব। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন ইভান্স। আগের ম্যাচে রায়ান টেন ডেসকাটাকে নিয়ে রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন। এই ম্যাচেও তাকে নিয়ে দলের বিপর্যয় সামাল দিলেন ৫৪ রানের জুটি গড়ে। যদিও ২০ বলে ২৮ রান করে ডেসকাটা আউট হয়ে যান আবু জায়েদের বলে। দলের স্কোর বোর্ডে তখন ৬২ রান ৩ উইকেট হারিয়ে। উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ৫ রানে বিদায় নিয়ে দলকে আরো বড় বিপদে ফেলেন। তবে তখনও অবিচল ইভান্স।
গতকাল ইভান্স ফিফটি পেতে খেলেন ৪৫ বল। এরপর অবশ্য ঝড় তোলেন তিনি। পেসার  আবু জায়েদের এক ওভারে তিনি ৪টি চার হাঁকান। এরপর আরেক পেসার খালেদের ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। অবশ্য খালেদের বলেই আউট হন ৫৬ বলে ৭৪ রান করে ৮ চার ও দুই ৬ হাঁকিয়ে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ফ্রাইলিঙ্কের ওভারে দুটি চার হাঁকান। শেষ ওভারে আবু জায়েদের প্রথম তিন বলেই একটি ছক্কা ও দুটি চারের মারে দলের স্কোর দেড়শ’ পার করেন ইয়োঙ্কার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status